রমজানে দাম বাড়ান না ত্রিপুরার ফল ব্যবসায়ীরা
ত্রিপুরা প্রতিনিধি:
চলছে রমজান মাস। এই মাসে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। সন্ধ্যায় ইফতারের মাধ্যমে শেষ হয় রোজা। সারাদিন রোজা রেখে ইফতারিতে কিছু ফলমূল না থাকলে অনেকেরই চলে না। তাই রমজান এলে স্বাভাবিকভাবেই বাজারে বেড়ে যায় ফলের চাহিদা। অনেক জায়গায় দেখা যায়, চাহিদা বাড়লে দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এর ব্যতিক্রম ত্রিপুরা। ফল ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজান উপলক্ষে ভারতীয় রাজ্যটিতে আলাদাভাবে কোনো দাম নির্ধারণ হয় না।
ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় ফলের বাজারে বর্তমানে বাড়তি চাহিদার কোনো প্রভাব নেই। বিভিন্ন মহকুমাতেও একই অবস্থা। গত দু’দিন বিভিন্ন এলাকার দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
আরও পড়ুন>> বাংলাদেশ-ত্রিপুরা রেল যোগাযোগ শুরু হবে শিগগির
আগরতলার কামান চৌমুহনী এলাকার ফল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তারা আগে যতটা ফল বিক্রি করতেন, রমজানে তার থেকে বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। তবু দামের ওপর কৃত্রিমভাবে এর কোনো প্রভাব ফেলতে চান না ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিমত, আমদানি বেশি হওয়ার পরে দাম বাড়িয়ে দিলে ফলে পচন ধরবে।
ফল ব্যবসায়ী ভিকি সাহা বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন ফলের মধ্যে দাম চড়া কেবল আপেলের ক্ষেত্রে। কেজিপ্রতি ১৫০ থেকে ২০০ রুপি হওয়ায় এর বিক্রিও কম। তবে অন্য সব ফলমূলের ক্ষেত্রে দাম একেবারে স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন এই ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন>> প্রথমবার ত্রিপুরা গেলে যে ৬ স্থান ঘুরতে ভুলবেন না
নামজাদা এই ফলবাজারের আরেক ব্যবসায়ী মাধব মালাকার বলেন, তীব্র দাবদাহে এখন দারুণ চাহিদা তরমুজের। তিনি জানান, মুসলিম ক্রেতাদের কাছে বিদেশি খেজুরের চাহিদা বেশি। তবে রমজান উপলক্ষে কোনো ফলের দাম বাড়ানো হয়নি বলে জানিয়েছেন এই ব্যবসায়ীও।
আগরতলার বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি বেদানা ২০০ থেকে ২৫০ রুপি, আঙ্গুর ১০০ থেকে ১৫০ রুপি, খেজুর ২৫০ থেকে ৩০০ রুপি এবং তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ রুপিতে।
আরও পড়ুন>> ত্রিপুরায় চৈত্রহাটে বাড়ছে ভিড়
কেএএ/
সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক
- ১ তসলিমা নাসরিনের ‘লজ্জা’ অবলম্বনে নির্মিত নাটকে মমতার নিষেধাজ্ঞা
- ২ ট্রাম্পের এআই উপদেষ্টা হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত শ্রীরাম কৃষ্ণান
- ৩ বাংলাদেশের জন্য উৎপাদিত বিদ্যুৎ অন্য প্রতিবেশী দেশে বেচতে চায় আদানি
- ৪ নিউইয়র্কে পাতাল ট্রেনে নারীর গায়ে আগুন ধরিয়ে হত্যা
- ৫ ইউক্রেনের একের পর এক গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার