মঙ্গলবারই ন্যাটোর সদস্য হচ্ছে ফিনল্যান্ড
অবশেষে ন্যাটোর সদস্য হচ্ছে ফিনল্যান্ড। মঙ্গলবারই (৪ এপ্রিল) এই পশ্চিমা সামরিক জোটের পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ পাচ্ছে তারা। সোমবার এ ঘোষণা দিয়েছে ফিনিশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। ২০২০ সালে নর্থ মেসিডোনিয়ার পর এই প্রথম নতুন সদস্য নিচ্ছে ন্যাটো। খবর স্কাই নিউজের।
ফিনল্যান্ড সদস্য হওয়ার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গও। তিনি বলেছেন, এই পদক্ষেপ ফিনল্যান্ড এবং অন্য সদস্যদের নিরাপদতর করবে।
ব্রাসেলসে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এখানে ন্যাটো সদর দপ্তরে প্রথমবারের মতো ফিনিশ পতাকা উত্তোলন করবো। এটি ফিনল্যান্ডের নিরাপত্তা, নর্ডিক নিরাপত্তা এবং সামগ্রিকভাবে ন্যাটোর জন্য একটি ভালো দিন হবে।
আরও পড়ুন>> ন্যাটোয় ফিনল্যান্ড, মেনে নিলো তুরস্ক
ফিনল্যান্ডের পাশাপাশি প্রতিবেশী সুইডেনও খুব শিগগির ন্যাটোয় যোগদানের অনুমতি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জোটের মহাসচিব।
আগে সমদূরত্ব নীতি অবলম্বন করতো ফিনল্যান্ড। কোনো সামরিক জোটে অংশ নিতো না তারা। কিন্তু রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর নীতি পরিবর্তন করে ফিনিশরা। দ্রুত ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার আগ্রহ দেখায় তারা।
আরও পড়ুন>> ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠিয়ে কি ঠিক করলো ন্যাটো সদস্যরা?
বস্তুত, রাশিয়ার সঙ্গে ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে ফিনল্যান্ডের। এ কারণেই ভয় পাচ্ছে তারা।
নিয়ম অনুযায়ী, নতুন কোনো দেশকে ন্যাটোয় যোগ দিতে হলে এর সব সদস্যের অনুমতি প্রয়োজন। তবে ফিনল্যান্ডের সদস্যপদ পাওয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় তুরস্ক ও হাঙ্গেরি।
ফিনল্যান্ডের বিষয়ে গত মাসেই সবুজ সংকেত দিয়েছিল হাঙ্গেরির পার্লামেন্ট। ৩০ সদস্যের জোটে বাকি ছিল কেবল তুরস্ক। তবে গত সপ্তাহে তারাও আপত্তি তুলে নিয়েছে।
এর ফলে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটের ৩১তম সদস্য হতে চলেছে ফিনল্যান্ড।
আরও পড়ুন>> রাশিয়াকে অবহেলা করা বিপজ্জনক: ন্যাটো
অবিলম্বে এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএ’কে এক রুশ কর্মকর্তা বলেছেন, দেশটি ফিনল্যান্ড সীমান্তে নিজস্ব বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করবে।
সুইডেনের অবস্থান
ফিনল্যান্ডের সঙ্গে সুইডেনও ন্যাটোয় যোগ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তুরস্ক জানিয়ে দিয়েছে, তারা কোনোভাবেই সুইডেনের যোগদান মেনে নেবে না। কারণ, তুরস্কের ‘জঙ্গিগোষ্ঠী’কে সমর্থন করে সুইডেন।
তুরস্কের অভিযোগ, কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সুইডেন জঙ্গি বলে মানতে চায় না। শুধু তা-ই নয়, সম্প্রতি সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনা নিয়েও সরব হয়েছে তুরস্ক। গোটা বিষয়টি নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে ন্যাটোর দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। সুইডেন জানিয়েছে, ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার বিষয়ে তারা এখনো আশাবাদী।
কেএএ/