পারমাণবিক অস্ত্রের শক্তি প্রদর্শনে মহড়া শুরু রাশিয়ার
যুদ্ধের মধ্যেই সামরিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া। এতে একদিকে যেমন রয়েছে ইয়ারস আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র অন্যদিকে রয়েছে ব্যাপক সেনা সমাবেশ। মনে করা হচ্ছে, পারমাণবিক অস্ত্রের শক্তি প্রদর্শনের অংশ হিসেবেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। খবর আল-জাজিরার।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার (২৯ মার্চ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সামরিক বাহিনীর তিন হাজারের বেশি সদস্য ও তিনশ’র বেশি সরঞ্জাম মহড়ায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন>‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে’ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পারি: ট্রাম্প
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রধান লক্ষ্য হলো ইয়ারস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাকে রাশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। দেশটিতে টপোল সিস্টেমের পরিবর্তে ইয়ারসকে নিয়ে আসা হয়েছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে ইয়ারস ব্যবস্থা তিন অঞ্চলে রণকৌশল প্রদর্শন করবে। তবে কোন তিন অঞ্চলে সে বিষয়ে পরিষ্কার কিছু জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন>অবশেষে ইউক্রেনে লেপার্ড ট্যাংক পাঠালো জার্মানি
অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছে প্রায় ৪০০ দিন হতে চললো। এখনো লড়াই থামার কোনো লক্ষণ নেই। বরং প্রতিনিয়ত বাড়ছে পারমাণবিক হামলার হুমকি। বিভিন্ন মহল থেকে শান্তি আলোচনার চেষ্টা চালিয়েও কোনো লাভ হয়নি। তবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি মাত্র একদিনের মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দিতে পারেন। তবে ঠিক কীভাবে এই কাজটি করবেন, তা ব্যাখ্যা করেননি তিনি।
সম্প্রতি ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের শেষ নাগাদ ইউক্রেন যুদ্ধ যদি শেষ না হয় এবং তিনি যদি নির্বাচিত হয়ে ফের হোয়াইট হাউসের ক্ষমতায় যান, তবে মাত্র ‘একদিনের মধ্যে’ শান্তিপ্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।
এমএসএম