নিউজিল্যান্ডে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি-সতর্কতা
নিউজিল্যান্ডে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর জেরে দেশটিতে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে শক্তিশালী এ ভূমিকম্প ঘটে, যার উৎপত্তিস্থল ছিল কারমাডেক দ্বীপ। ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার। ভূমিকম্পটির কেন্দ্র নিউজিল্যান্ডের মূল ভূখণ্ড থেকে ১ হাজার কিলোমিটার উত্তরপূর্বে।
আরও পড়ুন>> ঝড়ে লন্ডভন্ড নিউজিল্যান্ডের উত্তরাঞ্চল, জরুরি অবস্থা ঘোষণা
এদিকে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে সুনামি সতর্কতা জারি করেছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র। সংস্থাটি বলছে, কারমাডেক দ্বীপের কোনো কোনো জায়গায় শূন্য দশমিক তিন মিটার থেকে ১ মিটার উঁচু সুনামি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পের ঠিক আগ মুহূর্তে দেশটিতে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে বন্যা, ভূমিধ্বসের ঘটনা ঘটে। ভূমিকম্পটি দেশটির রাজধানী ওয়েলিংটনের কাছে অনুভূত হয়।
আরও পড়ুন>> এবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো নিউজিল্যান্ড
এর দুই-তিন দিন আগে ঘূর্ণিঝড় গ্যাব্রিয়েলের কারণে নিউজিল্যান্ডে বন্যা ও ভূমিধস দেখা দেয়। এতে চারজনের মৃত্যু হয়। জানা গেছে, গত কয়েক দশকের মধ্যে এ বছরই সবচেয়ে খারাপ আবহাওয়ার সাক্ষী হচ্ছে নিউজিল্যান্ড।
সম্প্রতি তুরস্ক ও সিরিয়ায় সাত দশমিক আট মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে দেশ দুটি মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশ দুটিতে ভয়াবহ এই দুর্যোগে ৪১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত দেশ দুটিতে উদ্ধার তৎপরতা প্রায় শেষ দিকে চলে এসেছে। যদিও ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া লোকজনের বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবুও বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের উদ্ধারকারী টিমের সদস্যরা।
সূত্র: রয়টার্স
এসএএইচ/এএসএম