ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ঋণ পুনর্গঠনে চ্যালেঞ্জের মুখে আইএমএফ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১:৩৫ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

করোনাভাইরাস মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গুরুতর সংকটে পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। আর্থিক ঘাটতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক দাতাদের দিকে ঝুঁকছে বিভিন্ন দেশ। এ অবস্থায় চাপে থাকা অর্থনীতিগুলোর সঙ্গে ঋণ পুনর্গঠনের বিষয়ে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ)। দেশগুলোতে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজনে বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান। খবর রয়টার্সের।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভারতে জি২০ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক শেষে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেছেন, ঋণ পুনর্গঠনের বিষয়ে এখনো কিছু মতপার্থক্য রয়েছে। আমাদের এখন সব সরকারি-বেসরকারি ঋণদাতাকে নিয়ে সার্বভৌম ঋণের বিষয়ে আলোচনায় বসতে হবে।

আরও পড়ুন>> আইএমএফের ‘অভাবনীয়’ শর্তে রাজি হওয়া ছাড়া উপায় নেই

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনৈতিক জোট জি২০র নতুন সভাপতি হয়েছে ভারত। এ অবস্থায় অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে আইএমএফের দ্বারস্থ হয়েছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলো।

গত শুক্রবার বৈশ্বিক ঋণ সমস্যার কারণগুলো চিহ্নিত করার জন্য একটি ন্যায্য ও উদ্দেশ্যমূলক বিশ্লেষণ পরিচালনা করতে জি২০ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম দ্বিপাক্ষিক ঋণদাতা চীন।

আরও পড়ুন>> বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের অনুমোদন দিলো আইএমএফ

আইএমএফ প্রধান সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা মাত্রই একটি অধিবেশন শেষ করলাম। সেখানে এটি স্পষ্ট ছিল যে, দেশগুলো মতপার্থক্য দূর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

শুধু ঋণ ‍পুনর্গঠনই নয়, ডিজিটাল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নেও অগ্রাধিকার দিচ্ছে জি২০ সভাপতি ভারত। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে একমত জর্জিয়েভা ক্রিস্টালিনাও।

আরও পড়ুন>> ধনীদের কর বাড়াও, গরিব বাঁচাও

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিজিটাল মুদ্রা রাষ্ট্রীয় সমর্থনপুষ্ট এবং স্থিতিশীল। এর সঙ্গে বেসরকারি ক্রিপ্টোর পার্থক্য বের করতে হবে।

আইএমএফ প্রধানের কথায়, নীতিমালার জন্য খুব জোরালোভাবে চাপ দিতে হবে। যদি নীতিমালা ব্যর্থ হয় কিংবা আপনি এটি প্রণয়নে ধীরগতির হন, তাহলে আমাদের সেসব সম্পদ নিষিদ্ধ করার আলোচনা বন্ধ করা উচিত হবে না। কারণ, সেগুলো আর্থিক স্থিতিশীলতার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

কেএএ/