ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

যেভাবে যুদ্ধ চলতে পারে ২০২৩ সালে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:২৬ এএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ দ্বিতীয় বছরে পা দিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণও নেই। তাই ২০২৩ সালজুড়ে কীভাবে সংঘাত চলতে পারে তা নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি কয়েকজন সামরিক বিশ্লেষকের সঙ্গে কথা বলেছে।

যুক্তরাজ্যের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের সহযোগী পরিচালক মাইকেল ক্লার্ক বলেন, যারা গ্রেট ইউরেশীয় স্টেপসজুড়ে অন্য একটি দেশে আক্রমণ করতে চায় তারা শেষ পর্যন্ত শীতকালের জন্যই নিন্দিত হয়।

আরও পড়ুন>দ্বিতীয় বছরে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, ইতি টানছে না কেউই

শীতের মধ্যেই নেপোলিয়ন, হিটলার ও স্টালিনকে সেনা মোতায়েন করতে বা বাড়াতে হয়েছিল। এখন রুশ প্রেসিডেন্ট যুদ্ধের ময়দানে একটু বেকায়দায় রয়েছেন। তাই শীতের জন্য সেনা দূরে সরিয়ে রাখছেন, যাতে বসন্তের সময় নতুন করে হামলা পরিচালনা করা যায়।

তিনি বলেন, এখন দুই পক্ষেরই বিরতি প্রয়োজন। তবে এই মুহূর্তে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইউক্রেন ব্যাপকভাবে উৎসাহিত। কারণ তারা অস্ত্রের দিক দিয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। এখন ইউক্রেন চাপ বাড়াতে পারে। অন্তত ডোনবাসে।

২০২৩ সালে যুদ্ধের টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে রাশিয়ার বসন্তের সময়ের হামলা। পুতিন জানিয়েছেন, এরই মধ্যে ৫০ হাজার নতুন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। নতুন করে আরও আড়াই লাখকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তাই যুদ্ধের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে।

আরও পড়ুন>বছরপূর্তিতে সম্ভাব্য রুশ হামলার জন্য প্রস্তুত ইউক্রেন

লন্ডনের কিংস কলেজের যুদ্ধ অধ্যয়ন বিভাগের বারবারা জ্যানচেটা বলেন, ভ্লাদিমির পুতিন দেখছেন ইউক্রেন ধারাবাহিকভাবে অন্যদেশ থেকে সামরিক সহায়তা পেয়ে যাচ্ছে। তাই তিনি এই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চাইবেন। এতে সংঘাত দীর্ঘমেয়াদি হবে।

তিনি বলেন, শীতের সময়টা কঠিন হতে পারে। এ সময় ইউক্রেনের মনোবল ভাঙতে বিভিন্ন অবকাঠামোতে হামলা করতে পারে রাশিয়া। যদিও রুশ হামলায় এরই মধ্যে জর্জরিত ইউক্রেনবাসী। অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রতিরোধও চোখে পড়ার মতো। তারা আরও দৃঢ়তা দেখাবে।

দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনাও হওয়ার বিষয়টিও এখন ধূসর। আলোচনায় বসতে হলে অন্তত এক পক্ষকে মনোভাবে পরিবর্তন আনতে হবে। কিন্তু তার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। ভবিষতে কখন যুদ্ধ বিরতির আলোচনা হতে পারেও তারও কোনো ইঙ্গিত নেই।

এমএসএম