আইএসের যৌন-নির্যাতন থেকে বাঁচতে শরীরে আগুন
ইরাকে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) সদস্যদের যৌন-নির্যাতন থেকে বাঁচতে শরীরে আগুন দিয়েছেন আট বছরের এক কিশোরী। এতে ওই কিশোরীর শরীরের বেশিরভাগ অংশই ঝলসে গেছে।
জার্মানির জেনেভার চিকিৎসা শিবিরে ওই কিশোরীকে দেখে প্রথমবার শিউরে উঠেছিলেন জ ইয়াহা কিজিহা নামের এক চিকিৎসক। তিনি বলেন, আট বছরের ওই মেয়েকে কোনও দিন ভুলতে পারবো না। মেয়েটার নাক, কানসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ঝলসে গেছে। চিকিৎসক ওই কিশোরীকে কেন তার এই অবস্থা সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। উত্তরটা শোনার পরে আর কথা বলতে পারেননি তিনি।
জ ইয়াহা কিজিহা বলেন, দক্ষিণ ইরাকে আইএসের এক জঙ্গি আস্তানায় যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করা হতো ওই কিশোরীকে। দশ মাসে অন্তত বিক্রি হয়েছে আট বার। শেষে আইএসের নির্যাতন থেকে বাঁচতে নিজের গায়ে আগুন দেয়। কারণ হিসেবে ওই কিশোরী জানান, পরের বার বিক্রি করতে নিয়ে গেলে যাতে নতুন খদ্দের তাকে পছন্দ না করেন।
ইরাকের বিভিন্ন জঙ্গিঘাঁটি থেকে উদ্ধারকৃত মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক চিকিৎসা শুরু হয়েছে জার্মানির একটি শিবিরে। জার্মানির বাদেন-উটেমবার্গের পৃষ্ঠপোষকতায় ওই চিকিৎসাসেবা চালু করা হয়েছে। গত বছরের এপ্রিল থেকে কয়েকশ` ইয়াজিদি নারীকে চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছে ওই শিবিরে।
এদের প্রায় সকলকেই যৌনদাসী বানিয়ে রাখা হয়েছিল ওই শিবিরে। সেখানে ইতোমধ্যে এক হাজারের বেশি নারীর চিকিৎসা করেছেন জ। তিনি বলেন, শিবিরে আসা নারীদের অধিকাংশের বয়স ১৬ থেকে ৪০ এর মধ্যে।
এসআইএস/আরআইপি