ইউক্রেনে রাশিয়ার নতুন আক্রমণ শুরু
রাশিয়া শান্তির জন্য নয়, বড় মাত্রায় আরও হামলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। আর সেই হামলা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে বলে আশঙ্কা করছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ব্রাসেলসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানিয়েছেন ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ।
তিনি বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শান্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এমন কোন লক্ষণ দেখছি না আমরা… বরং দেখতে পাচ্ছি, পুতিন এবং রাশিয়া এখনো ইউক্রেনকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।
ন্যাটো মহাসচিব বলেন, আমরা দেখছি, কীভাবে তারা আরও সৈন্য, আরও অস্ত্র, আরও সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে। বাস্তবতা হলো, আমরা এরই মধ্যে একটি নতুন আক্রমণের সূচনা দেখতে পাচ্ছি।
আরও পড়ুন>> ব্রাসেলসে করতালি পেলেও যুদ্ধবিমান পাননি জেলেনস্কি
রাশিয়ার আক্রমণ মোকাবিলায় পশ্চিমা মিত্রদের কাছে দ্রুত যুদ্ধবিমান দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ বিষয়ে আগামী মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে চলা ন্যাটোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের দুই দিনব্যাপী বৈঠকে আলোচনা হবে বলে আশা করছেন স্টলটেনবার্গ।
তার মতে, ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিলেও এই সংঘাতের অংশ হবে না ন্যাটো দেশগুলো।
এদিন স্টলটেনবার্গ আরও জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ন্যাটোর গোলাবারুদের মজুত ব্যাপকভাবে কমে গেছে। তাই এর মজুত বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন>> ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠিয়ে কি ঠিক করলো ন্যাটো সদস্যরা?
তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ প্রচুর পরিমাণে গোলাবারুদ গ্রাস করছে... এটি আমাদের প্রতিরক্ষা শিল্পকে চাপে ফেলেছে। এ কারণে আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে এবং উৎপাদন সক্ষমতায় বিনিয়োগ করতে হবে।
রাশিয়াকে মোকাবিলায় ইউক্রেনকে আরও সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে মঙ্গলবার ব্রাসেলসে বৈঠকে বসছেন ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা।
এদিকে, ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ইউক্রেনের দক্ষিণে জাপোরিঝিয়া এবং পূর্বে লুহানস্কের দখল করা এলাকাগুলোতে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান শক্তিশালী করছে রাশিয়া।
আরও পড়ুন>> রাশিয়াকে অবহেলা করা বিপজ্জনক: ন্যাটো
মন্ত্রণালয়ের দৈনিক গোয়েন্দা আপডেটে বলা হয়েছে, বর্তমান লড়াইয়ের মূল দৃষ্টি ডনবাসের মধ্যাঞ্চল হওয়া সত্ত্বেও রাশিয়া তার সম্প্রসারিত ফ্রন্টলাইনের সীমানা রক্ষায় উদ্বিগ্ন। জাপোরিঝিয়া ও লুহানস্কে ক্রমাগত প্রতিরক্ষামূলক দুর্গ নির্মাণই এর প্রমাণ।
সূত্র: আল-জাজিরা
কেএএ/