তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্প
চারদিন পর মাসহ ১০ দিনের শিশু জীবিত উদ্ধার
ভূমিকম্পের প্রায় ১০০ ঘণ্টা পরে তুরস্কে আরেকটি সদ্য জন্ম নেওয়া শিশু উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে শিশুটির মাকে। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে দেশটির হাতয় প্রদেশের একটি ধ্বংসস্তূপ থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, ১০ দিন বয়সী ওই শিশুটির নাম ইয়াগিজ। স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও প্রতিবেদনে দেখা যায়, ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে শিশুটিকে খুব সাবধানে বের করে আনা হচ্ছে। পরে কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে নেওয়া হয় হাসপাতালে।
আরও পড়ুন>> ধ্বংসস্তূপে জন্ম নেওয়া শিশুটিকে দত্তক নিতে হাজারো আবেদন
নবজাতকটির মাকে নিয়ে আসা হয়েছে স্ট্রেচারে করে। তবে তাদের শারিরীক অবস্থা কেমন, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এদিকে, ভূমিকম্পের চারদিন পর মাসহ শিশুটিকে জীবিত উদ্ধারের বিষয়টি অলৌকিক বলছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
ইস্তাম্বুলের মেয়র ইকরেম ইমামমোগ্লুর উদ্ধার টিমের সদস্যরা এ উদ্ধার অভিযানে নিয়োজিত ছিলেন। মেয়র টুইটারে বলেন, সামানদাগ শহরে এই মা ও নবজাতক উদ্ধার করা হয়েছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, একই ধ্বংসস্তূপ থেকে আরেক ব্যক্তিকে বের করে আনা হচ্ছে। তবে ওই শিশু ও তার মায়ের সঙ্গে এ ব্যক্তির কোনো সম্পর্ক আছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন>> ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত সিরিয়ায় ১১ টন ত্রাণ পাঠালো বাংলাদেশ
এদিকে, ভূমিকম্পের চার দিন পার হয়ে যাওয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে কাউকে জীবিত উদ্ধারের আশা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া, তীব্র শীতের কারণে উদ্ধার অভিযানও ব্যাহত হচ্ছে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প ও শতাধিক আফটারশকে এখন পর্যন্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় ২১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। গৃহ, আশ্রয়, পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছেন লাখো মানুষ।
এর আগে ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপেই জন্ম নেওয়া শিশু ‘আয়া’কে দত্তক নিতে হাজার হাজার আবেদন জমা পড়েছে। সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আলেপ্পোর জিনদায়ার্স শহরে ধ্বংসস্তূপেস জন্ম নেয় শিশুটি। তবে তার মা-বাবা, মাসহ তিন ভাইবোন মারা গেছে।
আরও পড়ুন>> তুরস্কে ভূমিকম্প/ একজনকে জীবিত ও তিন মরদেহ উদ্ধার করলো বাংলাদেশি দল
অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া শিশুটির নাম রাখা হয় আয়া। সে এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার দেখাশোনা করা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ হানিফ মারুফ জানান, উদ্ধারের পর তার শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ থাকলেও, এখন তার অবস্থা অনেকটা স্থিতিশীল।
সূত্র: বিবিসি
এসএএইচ