ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

৪৬তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার প্রস্তুতি চূড়ান্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:৫৭ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩

ধৃমল দত্ত, কলকাতা

৪৬তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার উদ্বোধন সোমবার (৩০ জানুয়ারি)। আর মঙ্গলবার বইপ্রেমীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে মেলা প্রাঙ্গণ। এ উপলক্ষে চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে মেলার আয়োজক কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, মেলা উদ্বোধনের দিন উপস্থিত থাকবেন বিখ্যাত সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। তাকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হবে।

ধারণা করা হচ্ছে, প্রথম দিনেই কলকাতার সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক প্রাঙ্গণে লাখো মানুষের সমাগম হবে। তাছাড়া এ বছর শিশুদের জন্য সুকুমার রায়ের লেখা কবিতার বই ‘আবোল-তাবোল’ এর প্রায় ২০ হাজার কপি বিতরণ করা হবে।

আরও পড়ুন> কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার উদ্ধোধন ৩০ জানুয়ারি

পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুসহ শহরের বয়োজ্যেষ্ঠ্য নাগরিকদের হাতেও বিনামূল্যে বই তুলে দেওয়া হবে। বিশেষ বাসে করে তাদের মেলায় নিয়ে আসা হবে।

এবারের বইমেলায় থিম কান্ট্রি থাকছে স্পেন। বিশাল এ আয়োজনে অংশ নিয়েছে ১৭টি স্প্যানিশ প্রকাশনা সংস্থা। স্প্যানিশ সদস্যরা মেলা উদ্বোধনের পর নিজস্ব শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবেন।

তাছাড়া এবারের বইমেলায় ২০টিরও বেশি দেশ অংশ নিচ্ছে বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে থাইল্যান্ড এবারই প্রথম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশ নিতে যাচ্ছে। জানা গেছে, এবারের মেলায় ছোট প্রকাশকদের জন্য চেয়ার-টেবিল নয়, তাদের জন্যও ছোট ছোট স্টলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এবারের আসরের মূল আকর্ষণ, বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন। প্রতিবেশী এ দেশের অন্তত ৪৩টি প্রকাশনা সংস্থা এ মেলায় বইমেলায় অংশ নিচ্ছে। এ দেশের সাংবাদিক, প্রকাশক ও লেখকদের জন্য বাংলাদেশ দিবস পালন করা হবে ৪ ফেব্রুয়ারি। সেদিনই বাংলাদেশি শিল্পীরা কলকাতায় আসবেন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবেন।

আরও পড়ুন> কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের ৪৩ প্রকাশনা

মেলায় আসা বইপ্রেমীরা যাতে কোনো সমস্যায় না পড়েন, সেজন্য অতিরিক্ত মেট্রো সার্ভিস চালু করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। বইমেলা চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত, আর শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে। 

২০২০ সালের কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলাতেও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু, দুঃস্থ ও বয়োজ্যেষ্ঠদের বই উপহার দেওয়া হয়েছিল। সেবার প্রায় ২৩ লাখ মানুষ মেলায় এসেছিলেন ও ২৪ কোটি রুপির বই বিক্রি হয়েছিল। তবে এবারের মেলায় বইপ্রেমীদের সংখ্যা বহুগুন বাড়বে বলে আশা করছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন> মিশরে সব কিছুর দাম আকাশছোঁয়া, বই বিক্রি হচ্ছে কিস্তিতে

এসএএইচ