‘পশ্চিমাদের সিদ্ধান্তহীনতার কারণেই আরও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক বলেন, বৈশ্বিক সিদ্ধান্তহীনতা যুদ্ধকে আরও দীর্ঘায়িত করছে, যার ফলে ইউক্রেনে আরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। শনিবার (২১ জানুয়ারি) ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক লেপার্ড ট্যাংক সরবরাহের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় জার্মানি ও পশ্চিমা দেশগুলোকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া এক টুইটে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ওই টুইটে তিনি লেখেন, আজকের সিদ্ধান্তহীনতা আমাদের আরও বেশি লোককে হত্যা করছে। সিদ্ধান্ত নিতে একদিন দেরি করা মানেই আরও বেশি ইউক্রেনীয়দের মৃত্যু, তাই আপনারা দ্রুত চিন্তা করুন।
আরও পড়ুন> স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় ‘যুদ্ধকে’ দায়ী করলেন জেলেনস্কি
একই দিনে লাটভিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এডগারস রিংকেভিক্স অন্য দুটি বাল্টিক রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে একটি যৌথ বিবৃতি টুইট করেন। সেখানে তারা জার্মানিকে শিগগির ইউক্রেনে লেপার্ড ট্যাংক সরবরাহের আহ্বান জানান।
রিংকেভিক্স বলেন, রুশ আগ্রাসন বন্ধে জেলেনস্কিকে সাহায্য করতে ও ইউরোপে দ্রুত শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব প্রয়োজন। এক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় ইউরোপীয় শক্তি হিসাবে জার্মানির বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে।
আরও পড়ুন> শি জিনপিংকে সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানালেন জেলেনস্কি
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) ইউরোপসহ বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশ ইউক্রেনকে শত কোটি ডলার মূল্যের সামরিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহ করার বিষয়ে একমত হয়েছে। সেসবের মধ্যে রয়েছে সাঁজোয়া যান ও গোলাবারুদ, যেগুলো কিয়েভকে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরও কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
এদিকে, ইউক্রেনকে লিওপার্ড ট্যাংকগুলো সরবরাহ করার বিষয়ে ব্যাপক চাপের মধ্যে রয়েছে জার্মানি। শুক্রবার এক বৈঠক শেষে জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস বলেন, লেপার্ড ট্যাংক সরবরাহের ক্ষেত্রে কখন কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা আমরা এখনও বলতে পারছি না।
আরও পড়ুন> সোলেদারে পিছু হটার কথা স্বীকার করলো ইউক্রেন
জানা যায়, জার্মানির তৈরি অত্যাধুনিক লেপার্ড-২ ট্যাংক পেতে আবেদন করেছে কিয়েভ। ইউক্রেনের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি মিত্র দেশের প্রধানরাও জেলেনস্কির বক্তব্যের সঙ্গে একই সুর মিলিয়েছেন। তাদের দাবি, ট্যাংকগুলো রাশিয়ার মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়তে অপরিহার্য।
সূত্র: আল-জাজিরা
এসএএইচ