ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

শরণার্থীদের সরাসরি স্পন্সর হতে পারবেন মার্কিনিরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:৪০ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২৩

এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আনতে বা পুনর্বাসনের জন্য শরণার্থীদের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা (স্পন্সর) করতে পারবেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা। জানা যায় স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার থেকে ‘ওয়েলকাম কর্পস’ কর্মসূচির আওতায় এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ওয়েলকাপ কর্পস কর্মসূচির অধীনে শরণার্থীদের স্পনসর করতে হলে, মার্কিন নাগরিকদের কমপক্ষে পাঁচজনের একটি গ্রুপ তৈরি করতে হবে।

আরও পড়ুন> অবৈধ অভিবাসীদের সীমান্ত থেকে দূরে থাকার আহ্বান বাইডেনের

কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত তিন ব্যক্তি বলেন, সরকার পাঁচজনের ওই গ্রুপকে নির্দিষ্ট সংখ্যক শরণার্থী নির্ধারণ করে দেবে ও গ্রুপটি প্রত্যেক শরণার্থীর জন্য সর্বোচ্চ ২ হাজার ২৭৫ মারি্কন ডলার সংগ্রহ করতে পারবে। এছাড়া, পৃষ্ঠপোষক গ্রুপগুলোকেও ব্যাকগ্রাউন্ড চেক পরীক্ষায় পাস করতে হবে ও শরণার্থীদের নিয়ে তাদের কী পরিকল্পনা রয়েছে তা স্পষ্ট করে জানাতে হবে।

অনেকের দাবি, এমন পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশের গতি-সংখ্যা আরও বাড়াবে ও এ সংক্রান্ত সরকারি খরচ কমাতে কার্যকরি ভূমিকা রাখবে। এ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হলো, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫ হাজার শরণার্থীর জন্য মার্কিন পৃষ্ঠপোষক খুঁজে বের করা। মার্কিন এ অর্থবছর শেষ হবে ৩০ সেপ্টেম্বর।

পুনর্বাসনের প্রয়োজন এমন ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা সংস্থা রিফিউজপয়েন্টের প্রতিষ্ঠাতা সাশা চ্যানফ বলছেন, নতুন এ কর্মসূচির মাধ্যমে ১৯৮০ সালে শুরু হওয়া মার্কিন শরণার্থী প্রোগ্রামের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হতে পারে। তাছাড়া, মার্কিন নাগরিকরাও এ সংক্রান্ত কাজ করার আরও বেশি সুযোগ পেতে চলেছেন।

আরও পড়ুন> যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি ছাত্রের মৃত্যু মানবাধিকার লঙ্ঘন

রয়টার্স বলছে, ইউএস রিফিউজি রিসেটেলমেন্ট প্রোগ্রামের মাধ্যমে শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসা হবে। আর রিফিউজি রিসেটেলমেন্ট প্রোগ্রামটি জাতিসংঘ ও মার্কিন দূতাবাস থেকে সুপারিশ করা হয়।

জানা যায়, কানাডাতেও শরণার্থীদের জন্য এমন পৃষ্ঠপোষক কর্মসূচি ব্যবহার করা হয়। তাই সুরক্ষা বা আশ্রয় চাওয়া বিদেশিদের সহায়তা করার জন্য ও মার্কিন নাগরিকদের শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করার সুযোগ করে দিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রেও এ ধরণের কর্মসূচি প্রণয়ন করলেন।

চলতি মাসের শুরুর দিকে বাইডেন প্রশাসন জানায়, এখন থেকে  প্রতি মাসে চারটি অনুন্নত দেশের ৩০ হাজার অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে। মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় নেওয়া ওই পদক্ষেপের অধীনে প্রতি মাসে কিউবা, নিকারাগুয়া, হাইতি ও ভেনেজুয়েলা নির্দিষ্ট পরিমাণ বৈধ অভিবাসী এ সুযোগ পাবেন।

আরও পড়ুন> মানবপাচার রোধে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে কাজ করছে

জানা যায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট চলতি অর্থবছরে ১ লাখ ২৫ হাজার শরণার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রে লক্ষ নির্ধারণ করেছেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৭৫০ জন শরণার্থী যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন।

সূত্র: রয়টার্স

এসএএইচ