খামেনিকে ‘ব্যঙ্গ’ করে কার্টুন, ইরানে ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে তলব
ইরানের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিকে কটূক্তি করে শার্লি এবদোর কার্টুন ছাপার ঘটনায় ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে তেহরান।
কয়েক মাস ধরে চলা সরকার-বিরোধী বিক্ষোভে সমর্থন জানাতে গত মাসে আয়োজিত কার্টুন প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে ফরাসি সাময়িকী শার্লি এবদো নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির কার্টুন ছেপেছিল।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফরাসি রাষ্ট্রদূত নিকোলাস রোচেকে তলব করে প্রতিবাদ জানানো হয়। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান কোনোভাবেই তার ইসলামিক, ধর্মীয়, জাতীয় পবিত্রতা ও মূল্যবোধের অপমান মেনে নেবে না।
কানানি ফরাসি সরকারের কাছে তেহরানের কড়া প্রতিবাদ প্রকাশ করে আরও বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতার অজুহাতে অন্যান্য দেশ ও মুসলিম জাতির পবিত্রতা অবমাননার ন্যায্যতা দেওয়ার কোনো অধিকার নেই ফ্রান্সের।
এদিকে, একই ঘটনার প্রতিবাদে ইরান বৃহস্পতিবার তেহরানে একটি ফরাসি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে।
প্রেস টিভি জানিয়েছে, শার্লি এবদো, এ সপ্তাহের শেষের দিকে একটি বিশেষ সংখ্যায় ইসলামিক বিপ্লবের নেতার বেশ কয়েকটি অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশ করে। ম্যাগাজিনটি ডিসেম্বরের শুরুতে কার্টুন তৈরির জন্য একটি প্রতিযোগিতারও ঘোষণা করেছিল।
ইরানে জনসম্মুখে নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব পরাসহ কঠোর পর্দা পালনের নিয়ম রয়েছে। এই বিধিগুলো তদারক করার জন্য রয়েছে দেশটির ‘নৈতিকতাবিষয়ক’ পুলিশ। এই পুলিশের একটি দল, গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনিকে তেহরান থেকে আটক করে। আমিনি তার পরিবারের সঙ্গে তেহরানে ঘুরতে গিয়েছিলেন। আটকের পর মাহসা আমিনি থানায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মাহসা আমিনির। এ ঘটনার প্রতিবাদে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলন-বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে ইরানের ডজনখানেকের বেশি শহরে।
ইরানের অভিযোগ, পশ্চিমা মিত্ররা এ আন্দোলনের কলকাঠি নাড়ছে।
সূত্র: তেহরান টাইমস
এসএনআর/জিকেএস