চীনে বাড়ছে সংক্রমণ, ভারতে করোনা ঠেকাতে বাড়তি সতর্কতা
চীনে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবার বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে ভারত। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নতুন করে ছয় ধরনের পরামর্শ দিয়েছে রাজ্য সরকারগুলোকে। করোনাভাইরাসের ওমিক্রন প্রজাতির একটি ধরন হলো বিএফ.৭। ভারতেও কয়েক জনের শরীরে ধরা পড়েছে এই ভাইরাস। এই ভাইরাস চীনে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে দ্রুত গতিতে।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মান্দাভিয়া চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং এবং থাইল্যান্ড থেকে ফেরত যাত্রীদের কোভিড নেগেটিভ সনদ দেখানোর কথা বলেছেন। তিনি বলেন, এসব দেশ থেকে যারা আসবেন তারা পজিটিভ হলে কিংবা উপসর্গ দেখা দিলে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে।
কেন্দ্রের নির্দেশ মোতাবেক শনিবার থেকেই বিদেশ থেকে ফেরত যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে দিল্লি বিমানবন্দরে।
২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে করোনার দ্বিতীয় দফা সংক্রমণে বড় ধরনের জটিলতা তৈরি হয় ভারতে। সেই থেকে অক্সিজেন সংকটও শুরু, যা এখনও আছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনোহর আগ্নানি এক চিঠিতে বলেছেন, ‘যদিও দেশে কোভিড সংক্রমণের ঘটনা কম এবং এখন পর্যন্ত বাড়ছে না, তবে ভবিষ্যতে যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য, এই চিকিৎসা পরিকাঠামোগুলোর পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে শুক্রবার দেশের সব রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মান্দাভিয়া। বৈঠকে কোভিড বিধি পালন, টিকাসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর জোর দিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কয়েক বছর ধরে চলা লকডাউন, কোয়ারেন্টাইন এবং গণ পরীক্ষা তুলে নেওয়ার মতো সরকারের আকস্মিক সিদ্ধান্তের কারণে চীনে হু হু করে বাড়ছে করোনা। হাসপাতালগুলোতে উপচেপড়া ভিড়।
যুক্তরাষ্ট্র চীনের এই সংক্রমণ বাকী বিশ্বের জন্যও উদ্বেগজনক বলে সতর্ক করেছে। এর আগে করোনায় বহু মানুষের মৃত্যু ঘটে ভারতে। অবশেষে করোনা টিকাসহ বেশ কিছু পদক্ষেপের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ভারত সরকার।
সূত্র: এনডিটিভি
এসএনআর/এএসএম