ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার গুপ্তচর সন্দেহে জার্মান গোয়েন্দাবাহিনীর সদস্য গ্রেফতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৭:৪৪ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২২

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার আঁচ নানাভাবে যে পশ্চিমা বিশ্বের ওপর পড়ছে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ইউরোপ, অ্যামেরিকাসহ একাধিক শক্তি যেভাবে ইউক্রেনকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে, মস্কোর কাছে তা মোটেই সুখকর নয়। তাই দুই পক্ষের মধ্যে মূল সংঘাতের পাশাপাশি একে অপরের ‘ভেতরের খবর’ জানতে বাড়তি আগ্রহও বিস্ময়ের কারণ হতে পারে না। এমনই এক দুর্বলতা ধরা পড়লো জার্মানিতে।

রাশিয়ার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে জার্মানির আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থা ‘বিএনডি’-র এক সদস্যকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি চলতি বছর জার্মানির গোপন রাষ্ট্রীয় তথ্য মস্কোর কাছে হস্তান্তর করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। বার্লিনে তার ও অন্য এক ব্যক্তির বাসা ও দপ্তরে তল্লাশি চালানো হয়েছে।

জার্মানির আইন ও বিচারমন্ত্রী মার্কো বুশমান বলেন, সন্দেহ প্রমাণিত হলে রাশিয়ার গুপ্তচরবৃত্তি বড় ধাক্কা খাবে। তিনি এই ঘটনার আলোকে আরও সতর্কতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

তাছাড়া গত এপ্রিল মাসে জার্মান সরকার ৪০ জন ব্যক্তিকে রাশিয়ার গুপ্তচর সন্দেহে দেশ থেকে বহিষ্কার করেছিল। কয়েক দিন আগে অস্ট্রিয়াও এক গ্রিক নাগরিকের বিরুদ্ধে রাশিয়ার জন্য গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনেছে।

বিএনডি-র প্রধান ব্রুনো কাল বলেন, গোটা ঘটনা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেতে তার সংস্থা তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করছে। একই সঙ্গে ভেতরের গোপন তথ্য পাচারের প্রমাণ সন্ধান করতে সার্বিক অভ্যন্তরীণ তদন্তও শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, অবিলম্বে ফেডারেল কৌশলিদের ডাকা হয়েছে। তবে তদন্ত চলাকালীন কোনো তথ্য প্রকাশ করা হবে না বলে কার্ল স্পষ্ট জানিয়ে দেন। জার্মানিতে প্রচলিত বিধি অনুযায়ী অভিযুক্তের সম্পূর্ণ নাম প্রকাশ করা সম্ভব নয়। শুধু জানা গেছে, তার প্রথম নাম কার্স্টেন ও পদবির প্রথম অক্ষর এল৷

প্রশ্ন হচ্ছে, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ প্রমাণিত হলে ঠিক কোন ধরনের তথ্য রাশিয়ার কাছে পাচার করা হয়েছে? রাশিয়া সম্পর্কে বিএনডি প্রধানের একটি মন্তব্যের মধ্যে একটি ইঙ্গিত নিয়ে জল্পনাকল্পনা চলছে। রাশিয়ায় জার্মান গোয়েন্দা সংস্থার চরদের পরিচয় মস্কোর হাতে চলে গেলে তাদের কী হাল হবে, সম্ভবত সে বিষয়ে দুশ্চিন্তার কারণ দেখছেন তিনি।

এমএসএম