ফুটবলের বিস্ময় ৩৮ লাখ জনসংখ্যার দেশ ক্রোয়েশিয়া
আয়তনে ছোট, জনসংখ্যা বেশি নয়, স্বাধীনতা পেয়েছে তিন দশকও হয়নি- এর মধ্যেই ফুটবল বিশ্বে নিজেদের শক্তি-সামর্থ্যের জানান দিতে শুরু করেছে ক্রোয়েশিয়া। ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা ঘোষণার সাত বছর পর ১৯৯৮ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে নামে বলকান দেশটি। এর মাত্র ২০ বছর পর সবাইকে চমকে দিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপে রানার্স আপ হয় তারা। এবার কাতার বিশ্বকাপেও বেশ দাপট দেখাচ্ছে ক্রোয়েটরা। এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে ক্রোয়েশিয়া।
টুকিটাকি তথ্য
ক্রোয়েশিয়ার আয়তন ৫৬ হাজার ৫৯৪ বর্গকিলোমিটার, অর্থাৎ বাংলাদেশের আয়তনের প্রায় তিনভাগের এক ভাগ। জনসংখ্যা মাত্র ৩৮ লাখের মতো। ক্রোয়েশিয়ার রাজধানীর নাম জাগরেব। দেশটির বেশিরভাগ মানুষ ক্রোয়েট ভাষায় কথা বলেন। সেখানকার পুরুষদের প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৭৪ বছর আর নারীদের ৮০ বছর। ২০০৯ সালে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হয় ক্রোয়েশিয়া। ২০১৩ সালের ১ জুলাই ২৮তম সদস্য হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেয় দেশটি।
আরও পড়ুন>> অভিবাসী সন্তানদের নিয়েই সমৃদ্ধ হয়েছে ফ্রান্সের ফুটবল
ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হারের পর ফুটবলার লুকা মডচিরকে আলিঙ্গন করেন তৎকালীন ক্রোয়েট প্রেসিডেন্ট। ছবি সংগৃহীত
প্রেসিডেন্ট
২০১৮ বিশ্বকাপের সময় বেশ আলোচিত ছিলেন ক্রোয়েশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট কোলিন্দা গ্রাবার-কিতারোভিচ। ফুটবল দলের প্রতি সমর্থন ও ফ্যাশন সচেতনতার কারণে নিয়মিত খবরের শিরোনামে উঠে আসতেন তিনি। ২০২০ সালের নির্বাচনে কিতারোভিচকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী জোরান মিলানোভিচ। ক্রোয়েশিয়ায় প্রেসিডেন্টের ভূমিকা মূলত আনুষ্ঠানিক। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করেন, তবে সেটি অনুমোদনের দায়িত্ব পার্লামেন্টের।
আরও পড়ুন>> সার্বিয়া সম্পর্কে যা জানা যায়
প্রধানমন্ত্রী
ক্রোয়েশিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নাম আন্দ্রেজ প্লেনকোভিচ। তিনি ক্রোয়েশিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (এইচডিজেড) পার্টির প্রধান। ২০১৬ সালের অক্টোবরে প্লেনকোভিচ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ২০২০ সালের জুলাইয়ে পুননির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
গণমাধ্যম
ক্রোয়েশিয়ার গণমাধ্যমগুলো খুবই স্বাধীন। ক্রোয়েশিয়ান রেডিও এবং টিভি (এইচআরটি) রাষ্ট্রায়াত্ত সম্প্রচারমাধ্যম হলেও এটি পরিচালিত হয় বিজ্ঞাপন ও লাইসেন্স ফি থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে। জনগণের কাছে রাষ্ট্রায়াত্ত টিভিই এখনো খবর ও তথ্যের জন্য প্রধান উৎস। তবে বেসরকারি মালিকানাধীন নোভা টিভির কাছে ক্রমেই দর্শক হারাচ্ছে এইচআরটি।
আরও পড়ুন>> নেদারল্যান্ডসে দেখার মতো কী কী রয়েছে?
দর্শকের জন্য ক্রোয়েশিয়ার জাতীয় বাণিজিক নেটওয়ার্কের পাশাপাশি কয়েক ডজন বেসরকারি টিভি স্টেশন রয়েছে। সেখানে ক্যাবল ও স্যাটেলাইট মার্কেটও বেশ সুপ্রতিষ্ঠিত।
আরও পড়ুন>> কাতারের সেরা ১০ দর্শনীয় স্থান
ক্রোয়েশিয়ায় তিনটি জাতীয় সরকারি রেডিও নেটওয়ার্ক, চারটি জাতীয় বাণিজ্যিক চ্যানেলের পাশাপাশি আঞ্চলিক সরকারি রেডিও এবং ১৩০টির বেশি স্থানীয় ও আঞ্চলিক রেডিও রয়েছে।
দেশটিতে দৈনিক সংবাদপত্র রয়েছে জাতীয় পর্যায়ে ছয়টি ও আঞ্চলিক পর্যায়ে চারটি। ক্রোয়েশিয়ার প্রিন্ট মিডিয়ায় অস্ট্রিয়ান ও জার্মানদের বড় বিনিয়োগ রয়েছে।
আরও পড়ুন>> ব্রাজিলে দেখার মতো কী কী রয়েছে?
সূত্র: বিবিসি
কেএএ/