ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

করোনা বাড়লেও বিধিনিষেধ বিরোধী বিক্ষোভ চীনে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:৩০ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০২২

করোনা মহামারি ৩ বছরের কাছাকাছি হলেও এখনও চীনে বাড়ছে সংক্রমণ। করোনাভাইরাস সংক্রমণ গত কয়েকদিনে কয়েক দফা বেড়ে গেছে দেশটিতে। তা সত্ত্বেও দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জিনজিয়াং প্রদেশের একটি আবাসিক ভবনে আগুন লেগে ১০ জন নিহত হওয়ার জেরে বিধিনিষেধ বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। রোববার (২৭ নভেম্বর) দেশটির বাণিজ্যিক হাব সাংহাইয়েও বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার রাতে প্রাদেশিক রাজধানী উরুমকিতে অবস্থিত একটি ভবনে আগুন লাগে এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২১ তলা পর্যন্ত আগুনের ধোঁয়া পৌঁছে যায়। আগুন নেভাতে প্রায় ৩ ঘণ্টা সময় লাগে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের। পরে সেখান থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা জানান, ওই ভবনের বাসিন্দারা আগুন লাগার সময় দ্রুত বের হতে পারেননি কারণ একটা অংশ লকডাউনের আওতায় ছিল। যদিও নগর কর্মকর্তারা বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেন।

চীনের সবচেয়ে জনবহুল শহর সাংহাইতে, বাসিন্দারা শনিবার রাতে উলুমুকি রোডে জড়ো হন। এটি উরুমকির নামে নামকরণ করা হয়েছে। এসময় তারা নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন করেন এবং রোববার ভোর পর্যন্ত প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন।

China-2.jpg

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যরম ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, প্রতিবাদকারীরা চিৎকার করে বলছেন উরুমকি থেকে লকডাউন তুলে নিতে। জিনজিয়াং থেকে এমনকি পুরো চীন থেকে লকডাউন প্রত্যাহার করার দাবি তাদের।

এসময় বিক্ষোভ থামানোর চেষ্টা করে দেশটির পুলিশ।

বিশ্বের অন্যান্য দেশ যখন করোনা বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে, জিরো কোভিড পলিসির কারণে চীন সবধরনের বিধিনিষেধ জারি রেখেছে দেশটিতে। শনিবারও চীনে রেকর্ড পরিমাণে, প্রায় ৪০ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

রোববার জিনজিয়াং কর্মকর্তারা জানান, উরুমকিতে সোমবার থেকে গণপরিবহন চালু করে দেওয়া হবে। শহরটিতে ৪০ লাখ বাসিন্দা এখনও লকডাউনের আওতায় রয়েছে।

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সেখান থেকেই বিশ্বে ছড়িয়েছে এই মারণঘাতি ভাইরাস। যদিও করোনার প্রকৃত উৎস কোথায় তা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে।

২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি। কয়েক বছরে করোনা বারবার ধরন বদলে আবারও সংক্রমণ ঘটিয়েছে। যদিও টিকা আসার পর করোনা এখন অনেকটাই স্তিমিত। তবে চীনে করোনার বাড়বাড়ন্ত দেশটির অর্থনীতিতে গুরুতর প্রভাব ফেলছে।

সূত্র: রয়টার্স

এসএনআর/এমএস