কাতার বিশ্বকাপ
সমকামীদের সমর্থনে রংধনু টি-শার্ট, মার্কিন সাংবাদিককে ঢুকতে বাধা
সমকামীদের সমর্থনে রংধনু টি-শার্ট পরে স্টেডিয়ামে প্রবেশের সময় এক মার্কিন সাংবাদিককে আটকে দেওয়া হয়। সোমবার (২১ নভেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। যদিও পরে তাকে ছেড়ে দেয় কাতার কর্তৃপক্ষ। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, কাতারে অল্প সময়ের জন্য তাকে আটক করা হয়েছিল। দেশটিতে সমকামীতা বৈধ নয়।
মার্কিন ওই ক্রীড়া সাংবাদিকের নাম গ্র্যান্ট ওয়াহল। তিনি একসময় যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়া সাময়িকী স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেডের সাংবাদিক ছিলেন। এখন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করেন এবং তার একটি ওয়েবসাইটও রয়েছে।
তিনি বলেন, এলজিবিটিকিউ কমিউনিটির সমর্থনে একটি রংধনু রঙের টি-শার্ট পরেছিলেন। এই টি-শার্ট পরে তিনি কাতারের আহদে বিন আলি স্টেডিয়ামে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তখন তাকে অল্প সময়ের জন্য আটক করা হয়। এসময় তাকে টি-শার্ট খুলে ফেলতেও বলা হয়।
তিনি বিষয়টি নিয়ে টুইট করতে গেলেও তার ফোন নিয়ে নেওয়া হয়।
পরে তিনি টুইটারে লেখেন, ‘আমি ঠিক আছি। কিন্তু এটার কোনও প্রয়োজন ছিল না’।
তিনি আরও জানান, পরে এক নিরাপত্তাবিষয়ক কমান্ডার তার কাছে ক্ষমা চান এবং তাকে স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি দেন। পরে ফিফার একজন প্রতিনিধিও তার কাছে চেয়েছেন বলেও জানান তিনি।
কাতারকে হোমোফোবিয়ার (সমকামিতা বা সমকামীদের প্রতি নেতিবাচক ধারণা প্রকাশ কিংবা ভয় পাওয়া হলো হোমোফোবিয়া বা সমকামভীতি) আস্তানা বলে দাবি করাটাও বিভ্রান্তিকর ধারণা।
সম্প্রতি দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, সমকামী যৌনতা বেআইনি, এটা বাস্তব, কিন্তু বিয়ের বাইরেও সব যৌনতাও তাই। এ ক্ষেত্রে এই আইন লঙ্ঘনের জন্য কয়েকটি মামলাও রয়েছে। এ ধরনের রক্ষণশীল কিন্তু কদাচিৎ প্রয়োগ করা আইনগুলো উন্নয়নশীল বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই, এমনকি প্রায় সব মুসলিম দেশেই প্রচলিত। যেখানে কাতারও এর বাইরে নয়।
সূত্র: রয়টার্স
এসএনআর/জিকেএস