দৈনিক শনাক্তে শীর্ষে জাপান, মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে তিন লাখ ৭৮ হাজার ৪৪৮ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিন লাখ ৩৯ হাজার ৫৫৬ জন।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকালে বৈশ্বিক পর্যায়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার আপডেট দেওয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা যায়।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৬৬ লাখ ২০ হাজার ৬৫৪ জন। এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ কোটি ১৫ লাখ ৩৩ হাজার ১৫৭ জনে। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬২ কোটি নয় লাখ ৭৪ হাজার ৪৭১ জন।
এদিকে, বিশ্বে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এসময়ে মারা গেছেন ৩০১ জন। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৬৬৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩০ হাজার ৫০৩ জন। করোনায় বিশ্বে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১০ কোটি ৮৫ হাজার ৬৯২ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ১১ লাখ এক হাজার ৬৮৫ জন। সেরে উঠেছেন ৯ কোটি ৭৬ লাখ চার হাজার ৫১০ জন।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হিসাবে শীর্ষে জাপান। দেশটিতে নতুন করে এক লাখ সাত হাজার ১৮৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। একই সময়ে মারা গেছেন ১১১ জন। সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৬০৪ জন। এ নিয়ে জাপানে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো দুই কোটি ৩৪ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৬ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৪৭ হাজার ৮২৬ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন দুই কোটি পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৮৪৩ জন।
দৈনিক মৃত্যুর হিসাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জার্মানি। ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ১৬২ জন। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৩০৬ জন। এ নিয়ে জার্মানি শনাক্ত রোগী বেড়ে হয়েছে তিন কোটি ৬১ লাখ ৫২ হাজার ৪৯০ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ ৫৬ হাজার ১৯২ জন। সেরে উঠেছেন তিন কোটি ৫২ লাখ তিন হাজার ৪০০ জন।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় ফ্রান্সে ৭১ জন, রাশিয়ায় ৬৩ জন, তাইওয়ানে ৬৯ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ৫৪ জন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪৭ জন, ব্রাজিলে ৪১ জন, পোল্যান্ডে ১৫ জন ও ভারতে ১১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশের হুবেই শহরে প্রথম করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। কয়েক মাসের মধ্যেই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বে। পরের বছরের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আরএডি/জিকেএস