যাবজ্জীবন সাজার বিরুদ্ধে আপিল করলেন ক্রাইস্টচার্চের সেই হামলাকারী
২০১৯ সালের ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মজসিদে বন্দুক হামলা চালিয়ে ৫১ জন মুসল্লিকে হত্যা করেন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারেন্ট। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০২০ সালের ২৭ আগস্ট তাকে প্যারোল ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন নিউজিল্যান্ডের একটি আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন ব্রেন্টন ট্যারেন্ট।
আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার ওয়েলিংটনের একটি আদালতে দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেওয়া প্যারোলবিহীন যাবজ্জীবনের বিরুদ্ধে এ আপিল করেছেন ট্যারেন্ট। আদালতটির এক মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
২০১৯ সালের ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের আল নুর ও লিনউড মসজিদে হামলা চালান ট্যারেন্ট। মসজিদ দু’টিতে জুমার নামাজের সময় অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে গুলি করে হত্যাযজ্ঞ চালান অস্ট্রেলিয়ান এ নাগরিক। হামলার ঘটনা ফেসবুক লাইভে প্রচারও করেন। ১৭ মিনিট ধরে ওই হামলার সরাসরি ভিডিও প্রচারিত হয়।
মুসল্লিদের মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত একের পর এক গুলি ছুড়তে থাকেন শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদে বিশ্বাসী ট্যারেন্ট। এ হামলায় ৫১ জন নিহত ও ৪০ জন আহত হন। এমন নৃশংস হামলায় নিউজিল্যান্ডসহ হতবাক হয়ে যায় সারাবিশ্বের মানুষ।
এ ঘটনায় ট্যারেন্টকে সরাসরি সন্ত্রাসী ও জঙ্গি হিসেবে আখ্যা দেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরর্ডান। তাৎক্ষণিক দেশের অস্ত্র আইন পরিবর্তনের ঘোষণা দেন তিনি। বর্ণবিদ্বেষী ডানপন্থী মতাদর্শের শেকড় উপড়ে ফেলতে বৈশ্বিক লড়াইয়ের আহ্বানও জানান জেসিন্ডা।
এদিকে এ হামলা থেকে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বাংলাদেশের দলের ক্রিকেটাররা। নিউজিল্যান্ড সফরে ক্রাইস্টচার্চে গেলে আল-নূর মসজিদেই সচারচর নামাজ পড়ে থাকেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। হামলার দিন নিউজিল্যান্ডে ওয়ানডে সিরিজ চলাকালেও তারা ওই মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন।
তিন-চার মিনিট আগে সেখানে পৌঁছালেই বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। ভাগ্যগুণে এমন হামলার হাত ছোঁয়া দূরত্ব থেকে নিরাপদে ড্রেসিংরুমে ফিরে যেতে পারেন তামিম-মুশফিক-মিরাজরা।
সূত্র: আল-জাজিরা
এসএএইচ