ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

করোনাভাইরাস

জিরো টলারেন্স প্রয়োগ করেও সংক্রমণ ঠেকাতে পারছে না চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৬:২৪ পিএম, ০৬ নভেম্বর ২০২২

চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে শি জিনপিং প্রশাসন। এর মধ্যেই দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা আবারও আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে শুরু করেছে। শনিবার (৫ নভেম্বর) দেশটির চার হাজার ৪২০ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়, যা গত ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শুক্রবারও (৪ নভেম্বর) তিন হাজার ৬৫৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এর আগে একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ধরা পড়েছিল মে মাসের ৬ তারিখে।

শুরুটা হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে হলেও, সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণাঞ্চলের শহর গুয়াংঝুতে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। শনিবারও এখানে এক হাজার ৩২৫ জন করোনারোগী পাওয়া যায়। শুক্রবার এ সংখ্যা ছিল ৭৪৬ জন।

এদিকে, শনিবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে ৪৩ জন করোনারোগী পাওয়া যায়। শুক্রবার এখানে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল ৩৭ জনের শরীরে। এ অবস্থার মধ্যেই রোববার ২০১৯ সালের পর আয়োজিত প্রথম ম্যারাথন দৌড়ে প্রায় ৩০ হাজার প্রতিযোগী অংশ নেন। প্রতিযোগিদের অনেককেই মাস্ক পরে দৌড়াতে দেখা যায়।

jagonews

করোনা মহামারির তিন বছরের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে চীনের বর্তমান সংক্রমণের হার তুলনামূলক অনেক কম হলেও শূন্য-কোভিড নীতি থেকে সরে আসতে নারাজ শি জিনপিং প্রশাসন। এমনকি, এখনও দেশটিতে চলছে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, কোয়ারেন্টাইন, কঠোর লকডাউন ও অভ্যন্তরীন ভ্রমণের ওপর কঠোর বিধি-নিষেধ।

শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা নতুন কোভিড কেস আবির্ভাব হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের কর্মকর্তা হু শিয়াং বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আমরা যে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি তা অত্যন্ত যথাযথ ও সময়োপযোগী। সবার প্রথম আমাদের মাথায় রাখতে হবে, যেভাবেই হোক মানুষের জীবন বাঁচাতে হবে। এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আমদানি ও অভ্যন্তরীণ ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে।

জাতীয় অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ও জনমনে নিরাশা সৃষ্টি হলেও জিরো-কোভিড নীতিতে অটল চীন সরকার।

সূত্র: আল জাজিরা

এসএএইচ