শ্রীলঙ্কায় কমছে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা
দুই দিন ধরে তুমুল বিতর্কের পর শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে সংবিধানের ২২ তম সংশোধনী বিল পাস হয়েছে। বিলটি পাসে ১৭৯ জন আইনপ্রণেতা পক্ষে ভোট দিয়েছেন এবং বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন একজন। শুক্রবার দেশটির পার্লামেন্টে এ বিল পাস হয়।
প্রধান বিরোধী দল, সামাগি জনা বালাওয়েগায়া (এসজেবি), শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টির পাশাপাশি জনতা বিমুক্তি পেরামুনা (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি) ২২তম সংশোধনীর পক্ষে ভোট দিয়েছে। সংসদ সদস্য শরথ বীরসেকেরাই একমাত্র ২২তম সংশোধনীর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন।
ভোটাভোটির সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে ও সংসদ সদস্য প্রসন্ন রানাতুঙ্গা পার্লামেন্টে উপস্থিত ছিলেন না।
এই সংশোধনীতে সাংবিধানিক পরিষদের অন্তর্ভুক্তি ও স্বাধীন কমিশনের গঠনের বৈশিষ্ট্যও উল্লেখ রয়েছে। যে কেউ দ্বৈত নাগরিক হলে তাকে আর সংসদ সদস্য হতে দেওয়া হবে না এবং বর্তমান দ্বৈত-নাগরিক এমপিরাও তাদের আসন হারাবেন। সাংবিধানিক সংশোধনীতে সংসদ নির্বাচিত হওয়ার আড়াই বছর পর প্রেসিডেন্ট সংসদ ভেঙে দেওয়ার অনুমতি দেবেন। এছাড়া সুশীল সমাজের সদস্যদের সাংবিধানিক পরিষদে নিয়োগের ক্ষেত্রেও বিরোধীদলীয় নেতার পরামর্শ নিতে হবে।
শ্রীলঙ্কায় খাদ্য সংকট, বেকার সমস্যা, জ্বালানি তেল ও গ্যাসের সংকট তীব্র আকার ধারণ করে গত কয়েক মাস ধরে। এ সংকটের পেছনে রাজাপাকসে পরিবারকে দায়ী করে আন্দোলনে নামে শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ। জনরোষে অবশেষে দেশত্যাগে বাধ্য হন গোতাবায়া রাজাপাকসে। যদিও পরে তিনি দেশে ফিরে এসেছেন। তার ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসে এর আগেই পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে। এরপর দেশের হাল ধরেন কয়েকবারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে।
সূত্র: কলম্বো গেজেট
এসএনআর/জেআইএম