সংকট কাটাতে পারমাণবিক বিদ্যুতে ফিরছে জাপান
সরবরাহ ঠিক রাখতে অচল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আবার সচল করা এবং পরবর্তী প্রজন্মের রিঅ্যাক্টর তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। ইউক্রেন সংকট ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে বিশ্বব্যাপী জনমত এবং সরকারি নীতি কীভাবে বদলে গেছে, সেটাই যেন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে জাপানের এই সিদ্ধান্তে। খবর রয়টার্সের।
২০১১ সালে প্রবল ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে ফুকুশিমা দাইচি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর থেকে জাপানের বেশিরভাগ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়।
বুধবার (২৪ আগস্ট) ফুমিও কিশিদা সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি টেকসই জ্বালানি ও পারমাণবিক বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পর্কে জনমত অর্জনসহ বছরের শেষ নাগাদ দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
তথাকথিত ‘সবুজ রূপান্তর’-এর একটি পরিকল্পনা তৈরির জন্য বুধবার বৈঠক করেছেন জাপানের সরকারি কর্মকর্তারা। তাদের অনেকেই পারমাণবিক বিদ্যুৎকে এই ‘সবুজ রূপান্তরের’ অন্যতম উপাদান হিসেবে দেখছেন।
ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর পারমাণবিক বিদ্যুতের তীব্র বিরোধিতা করেছিল জাপানের জনগণ। তবে সাম্প্রতিক জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং উষ্ণ গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের তাগিদে তাদের মতও অনেকটা বদলে গেছে।
গত মাসে জাপান সরকার বলেছিল, তারা শীতকালে বিদ্যুৎ সংকট এড়াতে আরও পারমাণবিক চুল্লি ফের চালুর পরিকল্পনা করছে।
গত জুলাই মাসের শেষের দিকে জাপানে সাতটি পারমাণবিক চুল্লি সক্রিয় এবং তিনটি রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বন্ধ ছিল। ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পরে আরোপিত কঠোর নিরাপত্তা মানদণ্ডের আওতায় আরও কিছু চুল্লি বর্তমানে একটি পুনর্নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
জাপানি প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, তারা বিদ্যমান রিঅ্যাক্টরগুলোর আয়ুষ্কাল বাড়ানোর চেষ্টা করবেন। বর্তমান আইনে জাপান একটি পূর্বনির্ধারিত সময়ের পরে রিঅ্যাক্টরগুলো বাতিল করে দেয়। বেশিরভাগ সময় এর মেয়াদ হয়ে থাকে ৬০ বছর।
কেএএ/এএসএম
সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক
- ১ শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের চিঠি গ্রহণ করেছে ভারত
- ২ তসলিমা নাসরিনের ‘লজ্জা’ অবলম্বনে নির্মিত নাটকে মমতার নিষেধাজ্ঞা
- ৩ ট্রাম্পের এআই উপদেষ্টা হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত শ্রীরাম কৃষ্ণান
- ৪ বাংলাদেশের জন্য উৎপাদিত বিদ্যুৎ অন্য প্রতিবেশী দেশে বেচতে চায় আদানি
- ৫ নিউইয়র্কে পাতাল ট্রেনে নারীর গায়ে আগুন ধরিয়ে হত্যা