করোনা বিপর্যস্ত ভারত-বাংলাদেশের পর্যটন ব্যবসা ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ
ভারত ও বাংলাদেশের পর্যটন ব্যবসাকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর জন্য দুই দেশের পর্যটন ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে শিলিগুড়ি উত্তরা টাউনশিপের সিঙ্গালিলা ক্লাবে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এই আলোচনা সভায় সব আলোচনার শ্বেতপত্র প্রস্তাব আকারে দুই দেশের পর্যটন ব্যবসায়ীরা তাদের নিজের দেশের পর্যটন দপ্তরে পাঠাবে বলে ঠিক করা হয়েছে।
এদিনের আলোচনা সভায় ভারতের পক্ষ থেকে হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশনের বাংলাদেশের সদস্যরা।
এই বৈঠকের সহযোগী ছিল ভারতের কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড। বৈঠকে আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলাদেশ ও উত্তরবঙ্গ এবং সিকিম জুড়ে পর্যটন বিকাশের জন্য বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি উঠেছে।
পর্যটন ব্যবসায়ী সম্রাট সান্যাল বলেন, আমরা পর্যটন দপ্তরের আজকের বৈঠকের আলোচনা একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করে প্রস্তাব আকারে পর্যটন দপ্তরের পাঠাবো। সেখানে উল্লেখ থাকবে বাগডোগরা থেকে ঢাকায় সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু করা হোক।
আরো ভালো হয় যদি বাগডোগরা ঢাকা এবং কাঠমান্ডু এক সঙ্গে যুক্ত করা যায় তাহলে গোটা বিশ্বের বাজারে আমাদের সব পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে নিয়ে একটা আলাদা জায়গা খুঁজে পাবো।
বাংলাদেশের পর্যটন ব্যবসায়ী তৌফিক আহমেদ বলেন, ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে অনেক ছোট ছোট নতুন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। পদ্মা সেতু নিয়ে তার বক্তব্য, পদ্মা সেতুকে পর্যটন কেন্দ্র বলা যায় না তবে পর্যটনকে সহজ করার জন্য পদ্মা সেতুর বড় ভূমিকা রয়েছে। আগে বেশ কিছু জায়গায় পৌঁছাতে যে সময় লাগত এই সেতুর জন্য তা প্রায় অর্ধেক পথ হয়ে গেছে।
টিটিএন/জিকেএস