ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ভারতে ছাত্রী পিটিয়ে বেকায়দায় পুলিশ (ভিডিও)

প্রকাশিত: ০৬:৩৬ এএম, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে প্রতিবাদরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ ও মারধরের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর বেকায়দায় পড়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। এ নিয়ে পুলিশের ব্যাপক সমালোচনাও শুরু হয়েছে।

৩০ জানুয়ারি আরএসএস-এর কার্যালয়ের সামনে ধারণ করা ওই ভিডিওতে দেখা যায়,  হায়দারাবাদে দলিত ছাত্র রোহিত ভেমুলার মৃত্যুর প্রতিবাদ জানাতে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন আইসার উদ্যোগে ঝান্ডেওয়ালার কেশব কুঞ্জের আরএসএসের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় ছাত্রীদের চুল ধরে মাটিতে ফেলে থাপ্পড়, ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করতেও দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের।

এছাড়া পুরুষ কনস্টেবলরা ছাত্রীদের চুল ধরে সজোরে চড় মারছেন ও মাটিতে আছড়ে ফেলছেন। তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পেটাচ্ছে সাদা পোশাকের কিছু যুবক। এ সময় শিক্ষার্থীদের চরম আতঙ্কিত অবস্থায় আর্তনাদ করতে দেখা যায়।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, সরকার সমর্থক কট্টরপন্থি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ‘আরএসএসের সন্ত্রাসীরা’ পুলিশের সঙ্গে মারপিটে অংশ নিয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের মারপিটের ঘটনা পুরোপুরি অস্বীকার করেছে পুলিশ। পুলিশ কমিশনার বিএস বাসসি জানান, এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।

কেন্দ্রীয় পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার পারমাদিত্য বলেন, প্রতিবাদকারীদের ওপর লাঠিচার্জে যাদের দেখা গেছে তারা পুলিশ সদস্য নয়। আমরা ফুটেজ দেখে আরো তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছি।

এদিকে, আরএসএস এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আর দিল্লি পুলিশ বলছে, তারা শুধু দুই ছাত্রগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করছিল। শনিবারের এ ঘটনার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সোমবার সকালে। এ নিয়েই ব্যাপক বিপাকে পড়েছে দিল্লি পুলিশ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে পুলিশ বিনা প্ররোচনায় লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আইসার জাতীয় সভাপতি সুচেতা দে। তিনি বলেন, ৩০ জানুয়ারি রোহিতের জন্মদিন ও মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুবার্ষিকী। তাদের দুজনের মৃত্যুতেই আরএসএসের ভূমিকা ছিল বলে আমরা মনে করি। সে কারণেই সে দিন আরএসএস দফতর অভিমুখে মিছিল করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু দিল্লি পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে দুই তিনশ ছাত্রীর ওপর নির্মম লাঠি চালাতে শুরু করে।

এদিকে, নয়া দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ক্ষমতাসীন মোদি সরকারের বিরুদ্ধে পুলিশকে `প্রাইভেট বাহিনী` হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ এনেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্যুইটারে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, বিজেপি এবং আরএসএস দিল্লি পুলিশকে প্রাইভেট সেনাবাহিনী হিসেবে ব্যবহার করছে। শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা জানান কেজরিওয়াল।



এসআইএস/এমএস