আল-কায়েদা নেতা জাওয়াহিরি নিহত হওয়ার প্রমাণ মেলেনি: তালেবান
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরি ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছে সম্প্রতি এমন ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে এবার দেশটির তালেবান সরকারের দাবি, আল-কায়েদা নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরির কাবুলে ‘প্রবেশ করা এবং বসবাস করা’ সম্পর্কে সরকারের কাছে কোনো তথ্য নেই।
একই সঙ্গে আফগান মাটিতে হামলার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে তারা। জাওয়াহিরির নিহতের খবরের ঘোষণা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছিল, জঙ্গি নেতাকে আশ্রয় দিয়ে দোহা চুক্তি ভঙ্গ করেছে তালেবান সরকার।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) ড্রোন হামলার নিন্দা জানিয়ে এক ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছে তালেবান সরকার। বার্তায় তারা দাবি করেছে, ড্রোন হামলায় যে আল কায়দার শীর্ষ নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরি নিহত হয়েছেন তার কোনো প্রমাণ তারা পায়নি।
গত রোববার কাবুলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) ড্রোন হামলায় আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানান, হামলার সময় আল–কায়েদার এই নেতা কাবুলে একটি বাড়ির ব্যালকনিতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় ড্রোন থেকে তাকে লক্ষ্য করে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। এতে জাওয়াহিরির মৃত্যু হয়। ওই বাড়িতে তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও ছিলেন। তবে হামলায় তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি। আল কায়েদা শীর্ষ নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার এক দশক পর যুক্তরাষ্ট্রের এটি সফল অভিযান বলে ধরা হচ্ছে।
দোহা থেকে এক বিবৃতিতে তালেবান নেতা সুহেল শাহিন বলেন, ‘আফগান সরকার বা দলীয় নেতৃত্বের কাছে এ হামলার বিষয়ে কোনো আগাম তথ্য ছিল না। হামলার পরে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাস্থল থেকে আমাদের গোয়েন্দারা জাওয়াহিরির উপস্থিতির কোনো প্রমাণ পাননি। তবে এখনো তদন্ত চলছে। সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ বিষয়ে বৈঠক করছেন। তদন্তে যেটি উঠে আসবে, তা বহির্বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হবে’।
সূত্র: রয়টার্স
এসএনআর/জিকেএস
সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক
- ১ তসলিমা নাসরিনের ‘লজ্জা’ অবলম্বনে নির্মিত নাটকে মমতার নিষেধাজ্ঞা
- ২ ট্রাম্পের এআই উপদেষ্টা হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত শ্রীরাম কৃষ্ণান
- ৩ বাংলাদেশের জন্য উৎপাদিত বিদ্যুৎ অন্য প্রতিবেশী দেশে বেচতে চায় আদানি
- ৪ নিউইয়র্কে পাতাল ট্রেনে নারীর গায়ে আগুন ধরিয়ে হত্যা
- ৫ ইউক্রেনের একের পর এক গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার