ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

‘নুমালিগড় রিফাইনারি থেকে পাইপলাইনে ডিজেল যাবে বাংলাদেশে’

আসিফ আজিজ | আসাম থেকে | প্রকাশিত: ১০:৫০ এএম, ১৮ জুলাই ২০২২

আসামের নুমালিগড় রিফাইনারি থেকে শিলিগুড়ি হয়ে দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটারের একটি ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন নির্মাণ হচ্ছে। যেটার পূর্ণাঙ্গ অর্থায়ন ভারতের। জ্বালানি তেলের এ পাইপলাইনটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই পাইপলাইন দুই দেশের বন্ধুত্বের স্মারক।

নুমালিগড় রিফাইনারির পরিচালক (কারিগরি) ভাস্কর জ্যোতি পুকান ভারত সফররত সাংবাদিক প্রতিনিধিদলকে একথা বলেন। তেল শোধনাগার প্রতিষ্ঠানটির গৌহাটির করপোরেট অফিসে ২০ মিনিটের একটি প্রেজেন্টেশনে এ পাইপলাইন ও নুমালিগড় রিফাইনারি সম্পর্কে জানানো হয়।

এর আগে ইনরমেশন কর্মকর্তা মি. জাকিরের সঙ্গে শপিংয়ের আলোচনা গাড়িতে সারতে সারতেই পৌঁছে যাই নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেডে। সেখানেও যথারীতি উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হলো সবাইকে।

পরে ২০ মিনিটের প্রেজেন্টেশনে উঠে আসে দুই দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জ্বালানি প্রসঙ্গ। বাংলাদেশের জন্য একটি ভালো খবর আসে এখান থেকে।

ভাস্কর জ্যোতি পুকান আরও জানান, বাংলাদেশে জ্বালানি সরবরাহ করতে নুমালিগড় রিফাইনারি সম্পূর্ণ প্রস্তুত। পাইপলাইনের কাজ সম্পন্ন হলেই শুরু হবে তেল সরবরাহের কাজ।

২০১৮ সালে এই ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের কাজ উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে দুই দেশ এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করবে।

সৌহার্দের এ পাইপলাইন চালু হলে দেশের উত্তরাঞ্চলে জ্বালানি তেল পরিবহন নিয়ে আর বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে (বিপিসি)। কমিশনিংয়ের পর প্রথম বছর আড়াই লাখ মেট্রিক টন পরিশোধিত ডিজেল আমদানি করা হবে বলে জানা যায়। পর্যায়ক্রমে প্রতি বছর ডিজেল আমদানির পরিমাণ বাড়ানো হবে। ১০ ইঞ্চি ব্যাসের এই পাইপলাইন দিয়ে বছরে সর্বোচ্চ ১০ লাখ মেট্রিক টন ডিজেল সরবরাহ করা সম্ভব হবে। আগামী বছরের ১৮ মার্চ দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে কমিশনিং করবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

পাইপলাইন স্থাপনে ভারতের বিনিয়োগ প্রায় ৩৪৬ কোটি রুপি এবং জমি অধিগ্রহণ ও রিসিভ ট্যাংক নির্মাণে বিপিসি বিনিয়োগ করেছে প্রায় ৩০৬ কোটি টাকা। পাইপলাইনে তেল পরিবহনে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমবে। একই সঙ্গে পরিবেশ দূষণের ঝুঁকিও থাকবে না। তেল পরিবহনে যে প্রতিবছর ক্ষয়ক্ষতি হয় সেটাও অনেকটা হ্রাস পাবে পাইপলাইনটি চালু হলে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে তেল সরবরাহে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।

এএসএ/এমএইচআর/জিকেএস