গ্রামে থাকতে মন্ত্রীদের নির্দেশ মোদির
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ভারতে নরেন্দ্র মোদির সরকার দেশটির উন্নয়ন কাজে তেমন গতি আনতে পারেনি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এবার সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিনব এক উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মোদি মন্ত্রীদের কড়া নির্দেশ দিয়ে বলছেন, অজ পাড়াগাঁয়ে আনকোরা মানুষের সঙ্গে মিশে তাদের মন বোঝার কাজ করতে হবে মন্ত্রীদের। এজন্য মন্ত্রীরা প্রয়োজনে মাসে অন্তত ৩০ ঘণ্টা গ্রামে কাটাবে।
দিল্লির মন্ত্রীদের সম্প্রতি এমনই নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রত্যেক মন্ত্রীকে মাসে অন্তত ৩০ ঘণ্টা করে দেশের কোনো প্রান্তে কাটিয়ে আসতে হবে। এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ৬০ জন মন্ত্রী রয়েছেন। মোদি বলছেন, মন্ত্রীদের মাসে অন্তত এক হাজার ৮ শ` ঘণ্টা গ্রামের মানুষের জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে।
দেশটিতে বিজেপি শাসনের দেড় বছর চলছে। এখনো মোদির প্রতিশ্রুত উন্নয়নের কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন। বিরোধীরা বলছেন, ভোটের আগে তো অসংখ্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। যেন ক্ষমতায় এলেই জাদুকাঠি দিয়ে ভারতের ছবিটাই আমূল বদলে দেবেন।
সেই আশায় মানুষ ভোটও দেয় মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপিকে। কিন্তু প্রাপ্তির ঝুলিটা আজও শূন্য কেন? এদিকে মোদি দিল্লিতে নাকি প্রত্যেক সপ্তাহে রাতদিন এক করে ‘জনমুখী’ সিদ্ধান্ত নিয়েই চলেছেন। আর তা কিছুতেই নিচু তলায় পৌঁছায় না।
আর এ কারণেই মন্ত্রীদের গ্রামে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ক্ষমতাসীন সরকার যে নীতি ঘোষণা করছে, সেটি আদৌ সব মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে কি না, তা জানতে হবে মন্ত্রীদের। তার বাস্তবায়নে সমস্যা আছে কিনা? কীভাবে তা আরো ভাল করা যায়? সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা কী এসব জানতেই মন্ত্রীদের গ্রামে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মোদি।
মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ ভাবনা যথাযথ পালন করলে, তার ফল সুদূরপ্রসারী। কারণ মন্ত্রী যদি নিজে গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের খোঁজখবর নেন, তা হলে তাতে বাস্তবের ছবিটি যেমন ফুটে উঠবে। তেমনই মন্ত্রীদের গ্রাম-সফরে আমলাতন্ত্রও চাঙ্গা হবে। কারণ বাস্তবায়নের কাজ তো সরাসরি তাদেরই। মানুষ তাদের অভিযোগও সরাসরি জানানোর সুযোগ পাবেন।
এসআইএস