ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

করোনার নতুন বৈশ্বিক ঢেউ আসছে, সতর্কবার্তা ডব্লিউএইচওর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:২৫ এএম, ১৬ জুলাই ২০২২

মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন বিএ পয়েন্ট ফাইভ (বিএ.৫) সাব-ভ্যারিয়েন্ট বা উপ-ধরনটি আগের ডেল্টা বা ওমিক্রন ধরনের তুলনায় অনেক বেশি বিপদজনক বলে উল্লেখ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) শীর্ষ বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথান।

একইসঙ্গে তিনি সতর্ক করেছেন, করোনার নতুন বৈশ্বিক ঢেউ আসার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এ বিষয়ে ডব্লিউএইচওর সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে রাখারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের একটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট বা উপ-ধরন হচ্ছে বিএ.৫। এ উপ-ধরনটির মারণ-সক্ষমতা অন্য পরিবর্তিত ধরনগুলোর তুলনায় বেশি। আর নতুন এ উপ-ধরনটিই বৈশ্বিক ঢেউ আসার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে, মনে করছেন সৌম্য স্বামীনাথান।

গত বৃহস্পতিবার এক টুইটবার্তায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ শীর্ষ বিজ্ঞানী বলেন, গত কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যু শিথিল থাকার পর বিশ্বব্যাপী আবারও করোনার ভয়াবহতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রতিদিন পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।

jagonews24

সম্ভাব্য নতুন ঢেউয়ের কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএ পয়েন্ট ফাইভ নামের উপ-ধরনটির প্রভাব, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আমাদের উদাসীনতা এবং বিশ্বজুড়ে করোনাপ্রতিরোধী ভ্যাকসিন বণ্টনে চরম অসমতা এ উত্থানের কারণ হতে পারে।

ওই টুইটবার্তায় সৌম্য স্বামীনাথান সতর্ক করে বলেন, বর্তমানে যেভাবে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে তাতে এটা নিশ্চিত যে, শিগগির করোনার একটি বৈশ্বিক ঢেউ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।

সম্ভাব্য এ পরিস্থিতিতে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে জাতিসংঘভিত্তিক এই স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থাটি সব সদস্য রাষ্ট্রকে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

২০১৯ সালের ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর বিশ্বের দেশে দেশে ভাইরাসটি ছড়াতে শুরু করে। ২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনায় প্রথম আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ ভাইরাসটিতে প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

চলতি বছরের শুরু থেকে বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালানো করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে ‘সুপারস্প্রেডার’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন বিজ্ঞানীরা। তবে ওমিক্রনেরই সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএ পয়েন্ট ফাইভ (বিএ.৫) আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এমকেআর