যৌন নিপীড়নের অভিযোগে উবারের বিরুদ্ধে ৫৫০ নারীর মামলা
জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম উবারের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ৫৫০ নারী মামলা করেছেন। অপহরণ, যৌন হয়রানি, যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ, মিথ্যা বলে ফাঁদে ফেলা, পিছু নেওয়া, হয়রানি করা বা আক্রমণ করা হয়েছে এমন সব অভিযোগ আনা হয়েছে উবার চালকদের বিরুদ্ধে। খবর বিবিসির।
বুধবার সান ফ্রান্সিসকো কাউন্টি সুপারিয়র আদালতে এসব মামলা করা হয়। এদিকে উবারের এক মুখপাত্র বলেন, যৌন নিপীড়ন একটি ভয়ংকর অপরাধ এবং প্রতিটি অভিযোগকে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখি।
তিনি বলেন, নিরাপত্তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেই। সে কারণেই উবার নতুন নিরাপত্তা ফিচার চালু করেছে এবং গুরুতর ঘটনার বিষয়ে আরও স্বচ্ছ হচ্ছে। যদিও দায়ের হওয়া মামলার বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করতে পারি না। তবে আমরা নিরাপত্তা বজায় রাখতে কাজ করে যাব।
যুক্তরাষ্ট্রের আইনি সহায়তা সংস্থা স্লেটার স্লেটার শুলম্যানের দায়ের করা মামলায় বলা হয়, যৌন নিপীড়নের ঘটনাগুলো একাধিক রাজ্যে ঘটেছে। সেখানে বলা হয়েছে, কমপক্ষে আরও ১৫০টি সম্ভাব্য অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের প্রথম দিক থেকেই উবার চালকরা নারী যাত্রীদের যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণ করছে। কিন্তু সংস্থাটি গ্রাহকের সুরক্ষার চেয়ে নিজেদের মুনাফা বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্লেটার স্লেটার শুলম্যানের প্রতিষ্ঠাতা অংশীদার অ্যাডাম স্লেটার বলেন, উবারের পুরো ব্যবসায়িক মডেলটি নিরাপদ রাইডের জন্য। কিন্তু রাইডারের নিরাপত্তা নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো উদ্বেগ দেখা যায়নি। গত মাসে উবার তার দ্বিতীয় নিরাপত্তা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, সেখানে দেখা গেছে শুধু ২০২০ সালেই ১৪১টি ধর্ষণের ঘটনাসহ ৯৯৮টি যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে।
প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, ২০১৯ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে যৌন নিপীড়নের পাঁচটি সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগসহ মোট ৩ হাজার ৮২৪টি অভিযোগ পেয়েছে তারা। ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে যৌন হয়রানির ৫ হাজার ৯৮১টি অভিযোগ পাওয়া গেছে।
টিটিএন/এমএস
সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক
- ১ যুক্তরাষ্ট্রে শোভাযাত্রায় গুলিতে ২ জন নিহত, আহত ১০
- ২ শেখ হাসিনা নিজেকে অনেক কিছু ভাবতে পারেন, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন
- ৩ অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ৪ বছরের কম হবে: ড. ইউনূস
- ৪ মার্কিন অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলার অনুমতি দিচ্ছেন বাইডেন: রিপোর্ট
- ৫ বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ধর্মীয় প্রতীক ব্যবহার নিষিদ্ধ করলো সৌদি আরব