উত্তর কোরিয়ার দাবি, দেশে করোনা ঢুকেছে ‘বেলুনে চেপে’
দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্ত দিয়ে উড়ে আসা ‘অজ্ঞাত বস্তু’ স্পর্শ করার পর থেকেই উত্তর কোরিয়ায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে বলে দাবি করেছে পিয়ংইয়ং। এ কারণে দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্ত পেরিয়ে আসা যেকোনো বস্তু সম্পর্কে নাগরিকদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছে কিম জং উন প্রশাসন।
দেশটির রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, সরকারি তদন্তে দেখা গেছে, সীমান্ত এলাকায় অজ্ঞাত কিছু বস্তুর সংস্পর্শে আসার পর উত্তর কোরিয়ার দুই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হন।
খবরে বলা হয়, এপ্রিল মাসের প্রথমদিকে ইফো-রি পাহাড়ে এসে পড়া অজ্ঞাত কিছু বস্তু খুঁজে পাওয়ার পর এক সৈনিক ও তার পাঁচ বছরের সন্তান করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। এরপর থেকেই উত্তর কোরিয়ায় প্রাণঘাতী ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
এই তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উত্তর কোরিয়ার জনগণকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী সীমান্ত ও সীমান্তবর্তী এলাকায় বেলুনে পাঠানো, বাতাস ভেসে আসা অথবা আবহাওয়া মণ্ডলের যেকোনো প্রক্রিয়া ব্যবহার করে পাঠানো অচেনা বস্তু সম্পর্কে সজাগ থাকে এবং সেগুলো ধরাছোঁয়ার ব্যাপারে সতর্ক হয়।
দেশটির জনগণকে আরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেউ রহস্যজনক কিছু দেখলেই যেন অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে জানায়, যেন মহামারি মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা সেগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলতে পারেন।
প্রতিবেদনটিতে সরাসরি দক্ষিণ কোরিয়ার নাম উল্লেখ করা না হলেও সিউলের দুই কোরিয়া একত্রিকরণ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে, এভাবে করোনাভাইরাস সীমান্ত পার হয়ে উত্তর কোরিয়ায় যাওয়া ‘একেবারেই অসম্ভব’।
দুই কোরিয়ার মধ্যে বন্ধ থাকা সীমান্তটি পৃথিবীর অন্যতম সর্বোচ্চ সুরক্ষিত সীমানা। তবুও উত্তর কোরিয়া ছেড়ে দক্ষিণে যাওয়া ব্যক্তিরা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার অধিকারকর্মীরা বিভিন্ন ধরনের পুস্তিকা, প্রচারপত্র ও মানবিক সহায়তা পাঠাতে বহু বছর ধরেই বেলুন ব্যবহার করে আসছেন।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
কেএএ/এএসএম