রাজাপাকসে পরিবার ভারতে পালানোর ‘গুজব’
চরম অর্থসংকটের জেরে শ্রীলঙ্কায় চলমান বিক্ষোভের মধ্যে গত সোমবার (৯ মে) পদত্যাগ করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। এরপর থেকেই তার অবস্থান নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। এর মধ্যে গুঞ্জন ছড়ায়, সপরিবারে ভারতে পালিয়েছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তবে এ তথ্য সঠিক নয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (১০ মে) কলম্বোর ভারতীয় হাইকমিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ধরনের ধারণা ‘ভুয়া ও স্পষ্টতই মিথ্যা’। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতীয় হাইকমিশন সম্প্রতি গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষ্য করেছে যে, কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি ও তাদের পরিবার ভারতে পালিয়ে গেছে এমন গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এগুলো ভুয়া ও নির্লজ্জ মিথ্যা খবর। ভারতীয় হাইকমিশন এগুলো দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।
High Commission has recently noticed rumours circulating in sections of media & social media that certain political persons and their families have fled to India.
— India in Sri Lanka (@IndiainSL) May 10, 2022
These are fake and blatantly false reports,devoid of any truth or substance.High Commission strongly denies them.
সোমবার লঙ্কান সরকারে পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভকারীদের ওপর সরকারপন্থিদের হামলার কয়েক ঘণ্টা পরেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন মাহিন্দা রাজাপাকসে। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট ও তার ভাই গোতাবায়া রাজাপাকসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
এরপর খবর ছড়ায়, বিক্ষোভকারীদের তোপের মুখে মঙ্গলবার সকালে সরকারি বাসভবন টেম্পল ট্রিজ ছেড়েছেন মাহিন্দা। সেখান থেকে পূর্ব শ্রীলঙ্কার ত্রিনকোমালির একটি নৌঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছেন বলেও শোনা যায়। এরপরই গুজব ছড়ায়, সপরিবারে ভারতে পালিয়েছেন লঙ্কান সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
An airforce helicopter, allegedly carrying some members of the Rajapaksa family, was seen taking off from the Police Park Grounds in Colombo this morning.#SriLanka #lka #CrisisLK pic.twitter.com/oet0PZvEk6
— DailyMirror (@Dailymirror_SL) May 10, 2022
একই সময় শ্রীলঙ্কার আরও কয়েকজন নেতাকে অবৈধভাবে দেশত্যাগে সহায়তার অভিযোগ ওঠে দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তারা।
শ্রীলঙ্কার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক এবং সিইও ক্যাপ্টেন থেমিয়া আবেউইক্রমা এক বিবৃতিতে সোশ্যাল মিডিয়ার খবরগুলোকে ‘মিথ্যা অভিযোগ’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, তারা শ্রীলঙ্কা থেকে কাউকে অবৈধভাবে পরিবহন ও অপসারণের সঙ্গে জড়িত নন।
সূত্র: জি নিউজ, ডেইল মিরর
কেএএ/জেআইএম