পিছিয়ে পড়লেন আম্বানি, এগোলেন আদানি
চলতি মাসের শুরুতে বিশ্বের সেরা ধনীদের বার্ষিক তালিকা প্রকাশ করে ফোর্বস ম্যাগাজিন। সেই তালিকায় রিলায়েন্স ইন্ডাসট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি ছিলেন ১০ নম্বরে । ১১ নম্বর স্থানে ছিলেন আদানি গ্রুপের গৌতম আদানি। যদিও ফোর্বসের সাম্প্রতিক তালিকায় বলা হয়, ওয়ারেন বাফেটকে পেছনে ফেলে বর্তমানে বিশ্বের পঞ্চম ধনী ব্যক্তি গৌতম আদানি।
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, ৫৯ বছরের আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যানের বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ ১২৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।
ফোর্বস জানিয়েছে, আদানির বর্তমান সম্পদের পরিমাণের কারণে তিনিই এখন ভারতের ধনীতম ব্যক্তি। তবে পিছিয়ে পড়েছেন রিলায়েন্স ইন্ডাসট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। আদানির সম্পত্তির পরিমাণ মুকেশের থেকেও ১৯ বিলিয়ন বেশি।
ফোর্বসের সর্বশেষ তথ্যে বলা হয়, সেরা ধনীদের তালিকায় আদানির আগে রয়েছেন মাত্র চারজন ধনকুবের। তারা হলেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস (সম্পত্তির পরিমাণ ১৩০ দশমিক ২ বিলিয়ন), ফরাসি ধনকুবের বার্নার্ড আরনল্ট (সম্পত্তির পরিমাণ ১৬৭ দশমিক ৯ বিলিয়ান), আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস (সম্পত্তির পরিমাণ ১৭০ দশমিক ২ বিলিয়ান) ও স্পেস এক্স ও টেসলার সিইও এলন মাস্ক (সম্পত্তির পরিমাণ ২৬৯ দশমিক ৭ বিলিয়ান)।
এপ্রিল মাসের শুরুতে ফোর্বস তাদের ৩৬তম বার্ষিক তালিকা প্রকাশ করে। যেখানে স্থান পেয়েছিলেন বিশ্বের মোট দুই হাজার ৬৬৮ জন ধনকুবের। সেই সময় ফোর্বস জানিয়েছিল, করোনা মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের খারাপ প্রভাব পড়েছে ধনকুবেরদের সম্পদের ওপরে। ফোর্বসের সেই তালিকাতেও শীর্ষস্থানে ছিলেন স্পেস এক্স ও টেসলার সিইও এলন মাস্ক। এরপরেই ছিলেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস।
ওই তালিকায় এবছর নতুন ২৩৬ জন ধনকুবের অন্তর্ভুক্ত হন। তালিকাটিতে আমেরিকার ধনকুবেরের সংখ্যা ছিল ৭৩৫, সবচেয়ে বেশি। অন্যদিকে রাশিয়ার ধনকুবেরের সংখ্যা কমেছে। এর পেছনে পুতিনের আগ্রাসী নীতিকে দায়ী করা হয়। যদিও এইসঙ্গে কমেছে চিনা ধনকুবেরের সংখ্যাও।
এমএসএম/এএসএম