ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে লড়তে প্রস্তুত ১৬ হাজার বিদেশি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:৫৬ পিএম, ১১ মার্চ ২০২২

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে অংশ নিতে ইচ্ছুক বিদেশি স্বেচ্ছাযোদ্ধাদের জন্য সবুজ সংকতে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ ধরনের যোদ্ধাদের ইউক্রেনের রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে ডনবাস অঞ্চলে নিয়ে যেতে সম্মতি দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (১১ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিন রাশিয়ার নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু জানান, মধ্যপ্রাচ্যের ১৬ হাজার স্বেচ্ছাযোদ্ধা ইউক্রেনে গিয়ে রুশ-সমর্থিত বাহিনীর সঙ্গে লড়তে প্রস্তুত।

এ বিষয়ে পুতিন বলেন, যদি দেখেন, এমন লোক রয়েছে যারা অর্থের জন্য নয়, স্বেচ্ছায় ডনবাসে বসবাসকারীদের সাহায্য করতে আসতে চায়, তাহলে আমাদের উচিত তাদের সেই ইচ্ছা পূরণ করা ও সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে যেতে সাহায্য করা।

এদিন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও প্রস্তাব করেন, ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ সেনাদের হস্তগত হওয়া পশ্চিমাদের তৈরি জ্যাভেলিন ও স্টিংগার ক্ষেপণাস্ত্র ডনবাস বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হোক।

জবাবে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, অস্ত্র সরবরাহ, বিশেষ করে রুশ সেনাদের হাতে আসা পশ্চিমাদের তৈরি অস্ত্রগুলো আমি লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক প্রজাতন্ত্রের সামরিক ইউনিটগুলোর কাছে দেওয়াকে সমর্থন করি। দয়া করে, এটাই করুন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর আগে দেশটির রুশপন্থি দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চল লুহানস্ক ও দোনেৎস্ককে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর এ দুটি অঞ্চলের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতের অজুহাতে ইউক্রেনে কথিত ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করেন তিনি।

ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়তে আগ্রহী বিদেশিদের ভিসার প্রয়োজন পড়বে না। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের মানুষ চাইলেই তাদের পক্ষে লড়তে পারবেন। তার এই ঘোষণার পর সত্যি সত্যি বিভিন্ন দেশ থেকে স্বেচ্ছাযোদ্ধা ইউক্রেনে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এবার রাশিয়াও সেই একই পথ অনুসরণ করলো। যদিও বিশ্বের দ্বিতীয় শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর এ ধরনের সাহায্যের আদৌ প্রয়োজন রয়েছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। কেউ কেউ মনে করছেন, ইউক্রেনে বিদেশি স্বেচ্ছাযোদ্ধা অংশগ্রহণের খবরের পাল্টা জবাব দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুতিন।

কেএএ/এএসএম