ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

কিয়েভের চারদিকে রুশ সেনাবহর, আরও দুটি শহরে হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:২৬ পিএম, ১১ মার্চ ২০২২

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন চলছেই। স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে কিয়েভের কাছে রুশ সেনাবহরে থাকা সৈন্যদের দেখা গেছে। কিয়েভের আশেপাশের অঞ্চলে পুনরায় মোতায়েন হয়েছে রুশ বাহিনী। আরও নতুন দুটি শহরে হামলার খবর মিলেছে।

শুক্রবার (১১ মার্চ) নতুন করে হামলায় আরও একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ইউক্রেনের জরুরি সেবা সার্ভিস জানিয়েছে, দিনিপ্রোতে আরও একজন মারা গেছে রুশ হামলায়। স্থানীয় সময় সকাল ৬টার দিকে এ হামলা চালানো হয় একটি স্কুল ও দুটি আবাসিক ভবনে। আর ও একটি কারখানায় হামলার পর আগুন লেগে যায়। এছাড়া লুৎস্ক শহরেও হামলা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ম্যাক্সার টেকনোলজিস-এর তথ্য মতে, সামরিক বহর শেষবারের মতো আন্তোনভ বিমানবন্দরের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে দেখা যায়। কিন্তু এখন সেগুলো আশেপাশের শহরে অবস্থান নিয়েছে।

এদিকে, জাতিসংঘ বলছে, ইউক্রেন থেকে পালানো মানুষের সংখ্যা ২৩ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

জ্যেষ্ঠ মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রুশ বাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় কিয়েভের তিন মাইল বা পাঁচ কিলোমিটার কাছাকাছি এগিয়ে এসেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার একজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন রুশ বাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় কিয়েভের তিন মাইল বা ৫ কিলোমিটার কাছাকাছি এগিয়ে এসেছে। উত্তর-পূর্ব দিক থেকে এগিয়ে আসা রাশিয়ান বাহিনী শহর থেকে ২৫ মাইল বা ৪০ কিলোমিটার দূরে।

এদিকে, রুশ আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর এই প্রথম দিনিপ্রো আর লুৎস্ক শহরে হামলার খবর পাওয়া গেলো। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সকালে কিয়েভের মেয়র বলেন, অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়া বেসামরিক নাগরিকরা রাজধানী শহরের সুরক্ষা দিচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এক মাস ধরে চলা উত্তেজনার মধ্যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। এর আগে পূর্ব ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর নির্দেশের আগে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পুতিন ইউক্রেনকে রাশিয়ার ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পূর্ব ইউক্রেন এক সময় রাশিয়ার ভূমি ছিল। পুতিনের এ ঘোষণার পর শুরু হয় ইউক্রেন আগ্রাসন।

সূত্র: বিবিসি

এসএনআর/জিকেএস