বেসামরিক লোক সরে গেলেই পূর্ণশক্তিতে আক্রমণ করবে রাশিয়া?
বেসামরিক লোকজনকে নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ দিয়ে ইউক্রেনের দুটি শহরে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া। একে ‘মানবিক করিডোর’ হিসেবে বর্ণনা করছে তারা। পূর্ব ইউক্রেনের এ শহর দুটির দখল নিতে শুরু থেকেই প্রবল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। ফলে বেসামরিক লোকজন সরে গেলে সেখানে পূর্ণশক্তিতে আক্রমণ হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
শনিবার (৫ মার্চ) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মস্কোর স্থানীয় সময় সকাল ১০টা (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা) থেকে মারিওপোল ও ভলনোভাখা শহরে সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে। তবে এই বিরতি কতক্ষণ স্থায়ী হবে, তা নিশ্চিত করা হয়নি।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার পরিপ্রেক্ষিতে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের সামরিক প্রশাসন থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ওই অঞ্চলের সামরিক প্রশাসনের প্রধান পাভলো কিরিলেঙ্কো জানিয়েছেন, এরই মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এখন বেসামরিক লোকজন কীভাবে সরিয়ে নেওয়া যায়, তা নিয়ে কাজ চলছে।
মারিওপোল-ভলনোভাখা এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?
গত বৃহস্পতিবার থেকে মারিওপোল অবরুদ্ধ করে রেখেছে রুশ বাহিনী। সাড়ে চার লাখ মানুষের এই শহরটিতে রাশিয়া ব্যাপক গোলাবর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেন।
মারিয়াপোলের নিয়ন্ত্রণ পেলে ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় বন্দর নগরী রাশিয়ার হাতে চলে যাবে। এর মাধ্যমে রুশপন্থি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলের সঙ্গে রাশিয়ার দখলে থাকা ক্রিমিয়া দ্বীপপুঞ্জের করিডোর তৈরি হবে। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল করে নিয়েছিল রাশিয়া।
ভলনোভাখা শহরটির তেমন পরিচিতি না থাকলেও রাশিয়ার কাছে এটিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আক্রমণ শুরুর পর থেকেই শহরটিতে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে।
দোনেৎস্ক ও মারিয়াপোলের সংযোগ সড়কের মাঝামাঝি অবস্থানের কারণে কৌশলগত দিক থেকে ভলনোভাখা এখন বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র: বিবিসি
কেএএ/এএসএম