নয়দিনের যুদ্ধেও মনোবল চাঙা ইউক্রেনবাসীর
ইউক্রেনে হামলার নয়দিন অতিবাহিত হলেও রাজধানী কিয়েভ এখনো দখলে নিতে পারেনি রাশিয়া। প্রথমদিন থেকেই কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলা চালিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও এখনো ইউক্রেনবাসীর মনোবলে চিড় ধরাতে পারেনি তারা। কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে বাস করা ইউক্রেনের হাজার হাজার নাগরিক মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত রাখতে সেনাবাহিনীতে নাম লিখিয়ে যুদ্ধে নেমেছেন।
বাংলাদেশের গাজীপুরের সন্তান হাবিবুর রহমান হাবিব (বর্তমানে কিয়েভের নাগরিক) গত ৩০ বছর ইউক্রেনে বসবাস করছেন। তিনি শুক্রবার সন্ধ্যায় জাগো নিউজের এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, গত দুদিন শান্ত থাকলেও বৃহস্পতিবার রাত থেকে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলার শব্দ কানে আসছে। ড্রোনের মাধ্যমে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা ধ্বংস করে দিচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা।
তিনি বলেন, রাশিয়া ভেবেছিল খুব সহজেই ইউক্রেন তথা কিয়েভ দখল করে নেবে। কিন্তু নয়দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কিয়েভ-তো দূরের কথা অধিকাংশ জায়গাই দখল করতে পারেনি। ইউক্রেনবাসীর মনোবল এখনো ব্যাপক চাঙা। নিজ মাতৃভূমিকে রক্ষার্থে হাজারো ইউক্রেনবাসী স্বেচ্ছায় যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য নাম লিখিয়েছে।
তিনি জানান, রাশিয়া যেন কোনোভাবেই কিয়েভ দখল করতে না পারে সেজন্য কিয়েভের প্রধান প্রধান সড়কে রড, সিমেন্ট ও বালু দিয়ে বড় বড় ব্যারিকেড স্থাপনের পাশাপাশি কামান নিয়ে দিনরাত পাহারা দিচ্ছে যোদ্ধারা। বর্তমানে ইউক্রেনের ১০০ জন নাগরিকের মধ্যে ৭০ জনই যুদ্ধে নাম লিখিয়েছে। সরকার যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার নিশ্চিত করাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে সারাক্ষণ রান্না হচ্ছে। যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীরা এসে খেয়ে চলে যাচ্ছে।
সাধারণ নাগরিক যারা বাসাবাড়ি বা মাটির নিচে বাংকারে অবস্থান করছেন তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন মার্কেট ও ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর থেকে যৎসামান্য কেনাকাটা করতে পারছেন। তবে সরবরাহ না থাকায় দাম বেড়ে গেছে। কোথাও কোথাও সাধারণ নাগরিকদের জন্যও বিনামূল্যে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এমইউ/এমএইচআর/এএসএম