ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ইউক্রেন ইস্যুতে সুর পাল্টালেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:৪৯ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২

 

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা এবং দু'পক্ষের লড়াই গড়ালো চতুর্থ দিনে। বিশ্বজুড়ে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। এবার ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার নিন্দা জানালেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

পূর্ব ইউক্রেনের দুটি অঞ্চলকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের স্বাধীন ঘোষণা এবং সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তাই নয় পুতিনকে ‘জিনিয়াস’ বলেও অভিহিত করেন তিনি। কিন্তু এবার সুর পাল্টালেন ট্রাম্প।

ফ্লোরিডায় কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে (সিপিএসি) ট্রাম্পের এ মন্তব্য এলো যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্ররা রাশিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে। বিশ্বের প্রধান আর্থিক লেনদেন পরিষেবা সুইফট থেকে রাশিয়াকে বাদ দিতে সম্মত হয়েছে তারা। এছাড়া ধনী রাশিয়ানদের গোল্ডেন পাসপোর্টও সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে তৃতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা নির্ধারণ করার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানা গেছে।

ট্রাম্প ইউক্রেনীয়দের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রশংসা করেছেন। সংঘাতময় পরিস্থিতিতে তিনি রাজধানী কিয়েভে থাকায় তাকে সাহসী বলেও উল্লেখ করেছেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ইউক্রেন ইস্যুতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, সমস্যা এটা নয় যে পুতিন স্মার্ট, সমস্যা হলো মার্কিন নেতারা খুবই নির্বোধ। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার জন্য বাইডেনের দুর্বলতাকেই দায়ী করেন তিনি।

ট্রাম্প বলেন, ‘ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলা ভয়াবহ। আমরা ইউক্রেনের গর্বিত জনগণের জন্য প্রার্থনা করছি। ঈশ্বর তাদের সকলের মঙ্গল করুন।’

তবে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার জন্য বাইডেনের দুর্বলতাকেই দায়ী করেন তিনি।

এর আগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক রেডিও অনুষ্ঠানের অতিথি ছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে ট্রাম্প ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার নেতা ভ্লাদিমির পুতিনের পদক্ষেপকে দারুণ বলে স্বাগত জানান। তবে তিনি আরও ইঙ্গিত দেন যে রিপাবলিকানরা ক্ষমতায় থাকলে ইউক্রেন সংকট হতো না।

স্থানীয় সময় শনিবারের (২৬ ফেব্রুয়ারি) ওই কনফারেন্সে ট্রাম্প সরাসরি না বললেও ২০২৪ সালে নির্বাচনে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সূত্র: ব্লুমবার্গ, রয়টার্স

এসএনআর/এমএস