আকাশসীমা ব্যবহারে একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়া
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেবে। ফলে রাশিয়ার কোনো বিমান আর ইউরোপের আকাশসীমা ব্যবহার করে চলাচল করতে পারবে না। রাশিয়ার তাস নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে কবে এই নিষেধাজ্ঞা জারি হবে সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। যদিও ইতোমধ্যেই রাশিয়ার বিমান চলাচলে যুক্তরাজ্য, বুলগেরিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, স্লোভেনিয়া, লাটভিয়া, লিথুনিয়া এবং এস্তোনিয়া তাদের আকাশসীমা বন্ধ রেখেছে। এবার ইউরোপের অন্যান্য দেশও নিষেধাজ্ঞা আনতে যাচ্ছে।
মূলত ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পরই পশ্চিমাদের একের পর নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে রাশিয়া। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাজ্য রাশিয়ার জাতীয় এয়ারলাইন্স অ্যারোফ্লোটের চলাচল নিষিদ্ধ করে। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) আরও দুটি ইউরোপীয় দেশ রাশিয়ার বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এদিকে, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) বলেছে, এটি বিমানের যন্ত্রাংশ রপ্তানির ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা এঁটে দেবে।
পোল্যান্ড এবং চেক রিপাবলিকও জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার সঙ্গে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আনছে। জাপান এয়ারলাইন্সও বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মস্কোর সঙ্গে তাদের ফ্লাইট বাতিল করেছে। বেলারুশও আকাশসীমা আংশিক বন্ধ করেছে। এর আগে জার্মানির লুফথানসা এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, তারা রাশিয়ায় তাদের বিমানের সব ফ্লাইট বাতিল করেছে।
এদিকে বিশ্বের প্রধান আর্থিক লেনদেন পরিষেবা সুইফট থেকে রাশিয়াকে বাদ দিতে সম্মত হয়েছে জার্মানি ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। এছাড়া ধনী রাশিয়ানদের গোল্ডেন পাসপোর্টও সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে তৃতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা নির্ধারণ করার প্রক্রিয়া চলছে। স্থানীয় সময় শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে জার্মান সরকারের একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, কানাডা, ইতালি এবং ইউরোপীয় কমিশন রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে একমত হয়েছে। রাশিয়ার আগ্রাসন রুখতে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থনৈতিক সক্ষমতা সীমিত করা জরুরি।
টিটিএন/এমএস