ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

‘১০ মার্চের পর বুলডোজার চলবে’, হুংকার যোগীর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:২৬ এএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২

সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদবের নির্বাচনী কেন্দ্রে গিয়ে প্রচারে ঝড় তুললেন ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মইনপুরি জেলার কারহাল বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটারদের নির্ভয়ে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান যোগী। এই কারহাল থেকেই প্রথমবারের জন্য বিধানসভা নির্বাচনে লড়ছেন অখিলেশ যাদব।

অখিলেশ যাদবের বিরুদ্ধে প্রচারে গিয়ে যোগী ভোটারদের ‘সমাজবাদীর গুন্ডাদের থেকে ভয় পেতে’ বারণ করেন। পাশাপাশি হুংকার ছেড়ে যোগী বলেন, নির্বাচনের জন্য বুলডোজারগুলো মেরামত করতে দেওয়া হয়েছে। ১০ মার্চের পর ফল প্রকাশ হওয়ার পর বিজেপি সরকার গঠন করলে বুলডোজারগুলো আবারও কাজ শুরু করে দেবে।

হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, কারহালে অখিলেশের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেশ সিং বাঘেলকে। তৃতীয় দফায় ২০ ফেব্রুয়ারি এই কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাঘেলের প্রচারেই এদিন কারহালে যান যোগী। মইনপুরি জেলা সমাজবাদীদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। কারহাল বিধানসভা কেন্দ্রে যাদবদের সংখ্যা বেশি। সেই যাদব অধ্যুষিত কেন্দ্রে গিয়েই যোগী কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন অখিলেশকে।

এদিন যোগী আরও একবার উত্তেজনা ছড়ান। এর আগেও অখিলেশ ও আরএলডি প্রধান জয়ন্ত চৌধুরীর বিরুদ্ধে এমন ভাষা প্রয়োগ করেন তিনি। যোগীর এই ভাষা প্রয়োগ নিয়ে অবশ্য কম সমালোচনা হয়নি। তবে তাতেও থামার পাত্র নন যোগী।

এদিন যোগী অখিলেশকে কটাক্ষ করে বলেন, অখিলেশ এর আগে বলেছিলেন যে মনোয়ন পেশের পর একেবারে ফল প্রকাশের দিন সার্টিফিকেট নিতে কারহালে আসবেন। তবে ভূপেশ বাঘেল তাকে পঞ্চমদিনই ফিরতে বাধ্য করলেন।

যোগী আরও বলেন, সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী আজমগড়ের সাংসদ হলেও করোনাকালে সেখানে যাননি। তাই তিনি সেখান থেকে (আজমগড়) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহস করতে পারেননি। কারহালে নেতাজির (মুলায়ম সিং যাদব) নাম ভাঙিয়ে আসন দখল করার কথা ভেবেছিলেন, কিন্তু এখন তাকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। পাশাপাশি এদিন ভূপেশ বাঘেলের বিরুদ্ধে হওয়া হামলার বিষয়টিও তোলেন যোগী আদিত্যনাথ।

ইএ/এমএস