ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

মার্কিন প্রেসিডেন্টের আদেশের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে বিক্ষোভ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৭:০৮ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২

যুক্তরাষ্ট্রে আটকে থাকা আফগানিস্তানের ৭ বিলিয়ন অর্থাৎ সাতশ কোটি মার্কিন ডলার সম্পদের অর্ধেক ৯/১১-র হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। বাকি অর্থ খরচ হবে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে আর্থিক সংকটে থাকা মানুষদের সহায়তার জন্য। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ ধরনের একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

এরপরই আফগানিস্তানে রাজধানী কাবুলে বাইডেনের নিন্দা জানিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। বলা হয়, এ সম্পদ আফগানিস্তানের জনগণের, তালেবানের নয়। রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

কাবুলের গ্র্যান্ড ঈদগাহ মসজিদের বাইরে জড়ো হয় বিক্ষোভকারীরা। গত ২০ বছরের যুদ্ধে নিহত কয়েক হাজার আফগানের জন্য আমেরিকার কাছে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তারা।

আফগানিস্তানের সাবেক মার্কিন সমর্থিত সরকারের আর্থিক উপদেষ্টা তোরেক ফারহাদি জাতিসংঘের আফগান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, জব্দ করা ফান্ড কোনো মানবিক সহায়তার জন্য নয় বরং দেশের মুদ্রার ব্যাকআপ, আর্থিক নীতিতে সহায়তা ও ভারসাম্যতার জন্য। বাইডেনের আদেশের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

ফরহাদ বলেন, এই অর্থ আফগান জনগণের, তালেবানের নয়। বাইডেনের সিদ্ধান্ত একতরফা ও আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। পৃথিবীর কোনো দেশ এভাবে অন্যদেশের রিজার্ভ জব্দ করে না বলেও জানান তিনি।

বিদেশে আফগানিস্তানের নয়শ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে। যার মধ্যে সাতশ কোটি ডলারই যুক্তরাষ্ট্রে। বাকি অর্থ জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সুইজারল্যান্ডে।

জানা গেছে, আফগানিস্তানের জব্দ করা অর্থের মধ্যে ৩৫০ কোটি ডলার আফগানদের মানবিক সহায়তার জন্য গঠন করা তহবিলে যুক্ত করার অনুমতি চাইবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বাকি অর্থ ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ারে হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য রাখা হবে।

আফগানিস্তানের অর্থনীতি মূলত টিকে আছে বিদেশি সহায়তার ওপর। বিশ্বব্যাংক বলছে, সরকারি বিভিন্ন খাতের ৭৫ শতাংশ খরচই মেটে বিদেশি সহায়তা থেকে। তালেবানের হাতে কাবুলের পতনের পর থেকে এসব সহায়তার বেশির ভাগই বন্ধ রয়েছে।

এমএসএম/জিকেএস