পাঠানকোটে তৃতীয় দিনেও গোলাগুলি চলছে
ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের পাঠানকোট বিমান ঘাঁটিতে তৃতীয় দিনের মতো সোমবার সকালে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিমান ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলার পর রোববারও সেখানে ব্যাপক গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। এর পর আজ সকালে বিমান ঘাঁটির ভেতরে অন্তত তিনটি বিস্ফোরণ হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেখানে আরও অন্তত দুই সন্ত্রাসী লুকিয়ে রয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দাবি করেছেন। শনিবার ওই ঘাঁটিতে হামলা শুরুর পর অভিযান শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। পরে রোববার রাতে অভিযান শেষ হয়েছে বলে ঘোষণা দেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিহ।
এদিকে, তিন দিন ধরে বিমান ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান লড়াই নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই সংকট মোকাবিলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
এনডিটিভি একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলছে, সন্ত্রাসীরা ওই বিমান ঘাঁটিতে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে ঢুকে পড়েছে। এদের মধ্যে চারজনের একটি গ্রুপ পাঞ্জাবের পুলিশ অফিসারের গাড়ি ছিনতাই করে সেটি ব্যবহার করেছে। এছাড়া পাঁচ জনের বেশি সন্ত্রাসীর আরেকটি গ্রুপ ওই ঘাঁটিতে আলাদাভাবে ঢুকেছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, পাঠানকোট বিমান ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় সাত নিরাপত্তা সদস্য ও পাঁচ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। পাঠানকোটের ওই ঘাঁটিতে আজ আবার গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে সেখানে কোনো সন্ত্রাসী এখনো জীবিত আছে কিনা তা জানা যায়নি।
পাকিস্তানের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদ এই হামলা চালিয়েছে বলে ভারত সন্দেহ করছে। ২০০১ সালে ভারতের পার্লামেন্টে জয়েশ-ই মোহাম্মদের হামলায় ১১ জনের প্রাণহানি ঘটে।
এসআইএস/এমএস