মহামারি সত্ত্বেও ভিয়েতনামের বাণিজ্য বেড়েছে ২৩ শতাংশ
করোনা মহামারি চলা সত্ত্বেও ভিয়েতনামের বৈদেশিক বাণিজ্য রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। জানা গেছে, চলতি বছর দেশটির বাণিজ্য ২২ দশমিক ছয় শতাংশ বেড়ে প্রায় ছয়শ ৬৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) ভিএনএক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
দেশটির রপ্তানি ১৯ শতাংশ বেড়ে প্রায় তিনশ ৩৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে রপ্তানি আয়ে অভ্যন্তরীণ কোম্পানিগুলোর অবদান মাত্র ২৬ দশমিক চার শতাংশ। ৩৫ ধরনের পণ্য থেকে রপ্তানি হয়েছে একশ কোটি ডলারের বেশি।
একই সময়ে ভিয়েতনামের আমদানি ২৬ দশমিক পাঁচ শতাংশ বেড়ে তিনশ ৩২ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। এতে দেশীয় কোম্পানিগুলোর অবদান রয়েছে ৩৪ শতাংশ। দেশটি সবচেয়ে বেশি আমদানি করে চীন থেকে।
ভিয়েতনামের আমদানি-রপ্তানির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চলতি বছরে দেশটি চারশ কোটি ডলারের পণ্য বেশি রপ্তানি করেছে। অর্থাৎ আমদানির থেকে রপ্তানি চারশ কোটি ডলার বেশি বা উদ্বৃত্ত। তবে চীনের সঙ্গে দেশটির বাণিজ্য ঘাটতি ব্যাপকভাবে বেড়েছে। যা ৫৩ শতাংশ বেড়ে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৪ বিলিয়ন ডলারে।
অন্যদিকে করোনা মহামারি সত্ত্বেও বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী ভিয়েতনামি প্রবাসীরা চলতি বছরে দেশটিতে প্রায় এক হাজার তিনশ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা গত বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি।
তবে বিশ্বব্যাংক ও গ্লোবাল নলেজ পার্টনারশিপ অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ধারণা করেছিল এ বছর ভিয়েতনামের রেমিট্যান্স দাঁড়াতে পারে এক হাজার ৮০০ কোটি ডলারে।
স্টেট ব্যাংক অব ভিয়েতনামের (এসবিভি) ডেপুটি গভর্নর ডাও মিন তু মঙ্গলবার এক বৈঠকে বলেন, যদিও এটি একটি কঠিন বছর ছিল। তারপরও ভিয়েতনামিরা এখনো প্রচুর রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে। যা বিনিয়োগ ও উন্নয়নের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা হচ্ছে ভিয়েতনামের দুটি প্রধান রেমিট্যান্স বাজার। তাছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও তাইওয়ানের মতো এশীয় দেশগুলো থেকেও এ বছর প্রচুর পরিমাণে রেমিট্যান্স যায় দেশটিতে।
এমএসএম/জিকেএস