ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

বাধ্যতামূলক টিকাদান: পক্ষে-বিপক্ষে তিন কারণ

আব্দুর রহমান আশিক | প্রকাশিত: ০৯:৩০ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর ২০২১

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) মহামারি সারাবিশ্বকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। বিশেষ করে এ ভাইরাসের বিভিন্ন ধরন এটি মোকাবিলায় আরও শঙ্কা জাগিয়েছে জনমনে। প্রায় দুই বছর আগে চীনের উহানে সর্বপ্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। বর্তমানে এটি বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

বর্তমানে আমরা মহামারিকে সঙ্গী করেই জীবনযাপন করছি। তবে সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো- ভাইরাসের বিভিন্ন ধরন। সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকায় এ ভাইরাসের আরেকটি বিপজ্জনক ধরন চিহ্নিত হয়। যেটাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ভাইরাসের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ সারাবিশ্ব নানা ধরনের কড়াকড়ি আরোপ করেছে। নতুন ভ্যারিয়েন্টে আগে করোনাভাইরাসের আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোসহ ভাইরাস মোকাবিলায় বিভিন্ন টিকা বাজারে চলে এসেছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতাও জারি করেছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই বাধ্যবাধকতা নিয়ে সমালোচনার জন্ম হয়েছে। ‘বাধ্যতামূলক টিকাকরণ’ কী ভাইরাস মোকাবিলার সম্ভাব্য সবচেয়ে ভালো উপায় হতে পারে কি না সেটা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি। যেখানে টিকা নেওয়ার বাধ্যবাধকতা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে তিনটি মতামত দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে সারাবিশ্বে জনজীবনে করোনার টিকাকরণ অপরিহার্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে বিভিন্ন পেশায় চাকরি করতে হলে তাদের টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যেমন- আপনি যদি ফরাসি চিকিৎসক, নিউজিল্যান্ডের শিক্ষক বা একজন কানাডীয় সরকারি কর্মচারী হন তাহলে আপনাকে কাজে যোগ দিতে হলে অবশ্যই করোনাভাইরাসের টিকা নিতে হবে।

ইন্দোনেশিয়ায় যারা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তারা সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। গ্রীস ৬০ বছরের বেশি বয়সী সব নাগরিকের টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে।

অস্ট্রিয়াও একই ধরনের চিন্তা করছে। তারা ফেব্রুয়ারির মধ্যে সবার টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে। এর মানে এই না যে, সবার জন্য টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক। চিকিৎসা ও ধর্মীয় বাধ্যবাধকতার কারণে কিছু কিছু বিষয়ে ছাড় থাকবে। তবে জনগণের মধ্যে বাকিদের যারা টিকা নেবেন না তাদের জরিমানার সম্মুখীন হতে হবে।

জার্মানিও একই পদাঙ্ক অনুসরণ করে করোনার টিকাদান বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে। এভাবে বিভিন্ন দেশ টিকাদানে বাধ্যবাধকতা আরোপের দিকে এগোচ্ছে। তারা কী ধরনের পরিকল্পনা করছে, কেমন ঝুঁকিতে রয়েছে তা বোঝার জন্য জনস্বাস্থ্য ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি।

>> পক্ষে: টিকা জীবন বাঁচায়

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকা বাধ্যতামূলক করার পক্ষে সবচেয়ে সহজ যুক্তি হলো এটি জীবন বাঁচায়। এছাড়া টিকা গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি কমায়। আর কম অসুস্থতার অর্থ হলো- মৃত্যু কমে যাওয়া ও হাসপাতালের ওপর চাপ কমানো।

ঐতিহাসিকভাবে টিকাদান ক্যাম্পেইনের ব্যাপক সফলতা রয়েছে। গুটিবসন্তের মতো মহামারির বিস্তার রোধে টিকা সারাবিশ্বে কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে সর্বজনবিদিত। এটা ব্যক্তির নিরাপত্তার চেয়ে একটি পুরো কমিউনিটিকে নিরাপদ রাখতে সাহায্য করে।

ইয়েল ইউনিভার্সিটির হিস্ট্রি অব মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জ্যাসন সোয়ার্টজ বলেন, ‘ব্যাপকহারে টিকাদানের সুবিধার সবচেয়ে ভালো উদাহরণ হলো এটা (টিকাকরণ) শুধু একজন ব্যক্তিকে নিরাপত্তা দেয় না বরং একটা কমিউনিটিকে নিরাপদ করে তোলে।’

তার মতে, ‘টিকা কাজে দেয়, অবশ্যই টিকা কাজ করে। আমাদের কাছে দেখানোর মতো এর ভুরি ভুরি উদাহরণ আছে।’

অস্ট্রিয়া ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের সব নাগরিককে টিকার আওতায় নিয়ে আসবে। এছাড়া ফ্রান্স রেস্তোরাঁ ব্যবহার ও জনসমাগমস্থলে চলাচলের জন্য নাগরিকদের ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার মাত্রা বাড়বে বলে আশা দেখছে দেশটির সরকার।

>> বিপক্ষে: বিরোধী মত থাকবেই

গত জুলাইয়ে লন্ডনে সড়কে নেমে লকডাউনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে লকডাউনবিরোধী একটি পক্ষ। এটাও উল্লেখযোগ্য কারণ যে, সরকার যে ধরনের ব্যবস্থা নিক, তার একটি বিরোধী মত থাকবেই। সেই হিসেবে সারাবিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন ও বাধ্যতামূলক টিকা দেওয়ার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।

jagonews24অস্ট্রেলিয়া বাধ্যতামূলক টিকাদানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড হাতে এক নারী/ছবি: সংগৃহীত

লন্ডন ইউনিভার্সিটি কলেজের বিশ্ব-স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের জনস্বাস্থ্য চিকিৎসক ভ্যাইগেস জেইন বলেন, ‘যখন মানুষ ভ্যাকসিন নেওয়ার বিষয়ে চিন্তা করে তখন একটু অন্যভাবেই ভাবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে যখন কারও শরীরে কোনো কিছু প্রবেশ করানো হয়, সেটাকে চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞ কিংবা অন্যরা তাত্ত্বিকভাবে বিধিনিষেধের অন্তর্ভুক্ত মনে করতেই পারে, কিন্তু সাধারণ একজন সেভাবে ভাবতে পারে না। সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে এক ধরনের আবেগপূর্ণ প্রতিক্রিয়া থাকে।’

সবসময় কিছু মানুষ থাকবেই যারা টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাবিত হয় না। অ্যান্টি-ভ্যাক্সার (টিকাবিরোধী) না হলেও তারা টিকা নেওয়ার ব্যাপারে সন্দিহান। এ ব্যাপারে তাদের কিছু সন্দেহ থেকেই যায়।

অস্ট্রিয়ার এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশটির ৯০ লাখ জনসংখ্যার ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ টিকা নেওয়ার ব্যাপারে অপ্রস্তুত এবং ৯ শতাংশ দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে রয়েছেন।

অবশ্যই প্রতিক্রিয়ার চেয়ে টিকা নেওয়ার উপকারিতা বেশি কি না সরকার সেটা বিবেচনায় নিতে পারে। কেপ টাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ক্যাথলিন পাওয়েল যুক্তি দিয়েছেন, এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।

তিনি বলেন, ‘কোনো একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তি যিনি টিকা নিতে চান না, কিংবা তিনি নিজের মতো চিকিৎসা করাতে চান সেটা তার ব্যক্তিগত অধিকার, তবে সেটা যদি অন্য কোনো ব্যক্তি বা মানুষের ক্ষতির কারণ হয় বিশেষ করে মহামারি কিংবা গুরুতর রোগের ক্ষেত্রে তাহলে পদক্ষেপ নেওয়া যেতেই পারে।’

>> পক্ষে: বিকল্প পথ খোলা নেই...

করোনাভাইরাস আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও আমাদের কাছে রয়েছে টিকা। করোনা প্রতিরোধে মাস্ক পরিধান, স্বাস্থ্যবিধি মানা থেকে শুরু করে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে টিকাই একমাত্র পন্থা যেটা মহামারি মোকাবিলার বড় অস্ত্র হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা পর্যন্ত এ ব্যাপারে একমত। তবে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে এখনো বিশ্বের জনসংখ্যার বড় একটি অংশ টিকার বাইরে থেকে গেছে।

অন্তত ইউরোপে টিকা নেওয়ার ব্যাপারে একটা হতাশার দিক হলো- গত কয়েকমাস ব্যাপকভাবে টিকা দেওয়ার পরও জনসংখ্যার একটা বড় অংশ টিকার বাইরে রয়েছে। পশ্চিম থেকে পূর্ব মহাদেশজুড়ে টিকাদানের হারে একটি বিরাট পার্থক্য বিদ্যমান।

jagonews24

ইউরোপীয় ইউনিয়নের চিফ উরসুলা ভনডার লিয়েন বলেন, ‘এখনই টিকা বাধ্যমূলক করার উপযুক্ত সময়’। যদিও তিনি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সরকারের ওপর বিষয়টি ছেড়ে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, “আমাদের কাছে ‘জীবন রক্ষাকারী’ টিকা রয়েছে কিন্তু, সেগুলো পর্যাপ্তভাবে সব জায়গায় ব্যবহার করা হচ্ছে না।”

>> বিপক্ষে: হয়তো এখনই না

যদিও বাধ্যতামূলকভাবে টিকা নেওয়ার পক্ষে অনেক যুক্তি রয়েছে। তবুও এটিই একমাত্র বিকল্প পথ নয়।

অক্সফোর্ড টিকা দলের একজন ঊর্ধ্বতন সমাজবিজ্ঞান গবেষক সামান্থা ভ্যানডেসলট বলেন, ‘অতীতে আমরা যে বিষয়টি লক্ষ্য করেছি, বাধ্যতামূলক টিকা দেওয়ার ধারণাটি রাজনীতিকদের কাছে খুব পছন্দের। কারণ কোনো সমস্যা সমাধানে এটি দ্রুত উত্তর দেয় বলে মনে হয়।’

তিনি বলেন, ‘আমি সরকারের অন্যান্য পদক্ষেপগুলো ফেলে দিচ্ছি না। তবে সেক্ষেত্রে সব নাগরিকের টিকা নিশ্চিত করা খুবই জরুরি।’

অস্ট্রিয়া ফেব্রুয়ারির আগে সবার জন্য টিকা বাধ্যতামূলক করছে না, এখনো তারা ভিন্ন উপায় ব্যবহারের চালাচ্ছে।

jagonews24

ইউনিভার্সিটি অব ইন্সব্রুকের স্বাস্থ্য মনোবিজ্ঞানী বারবারা জুয়েন বলেন, ‘টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে যারা ভীত, যাদের এ ব্যাপারে আস্থার সংকট রয়েছে, যাদের ঝুঁকি মূল্যায়নের মাত্রা কম—তাদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ যে, তাদের কথা ও উদ্বেগগুলো গুরুত্ব সহকারে ভেবে দেখা হচ্ছে।’

দক্ষিণ আফ্রিকার ২৪ শতাংশ মানুষ টিকা নিয়েছে, যা পুরো ইউরোপের গড় টিকাকরণের অর্ধেক এবং আফ্রিকাজুড়ে টিকা নেওয়া মানুষের তুলনায় ৭ শতাংশ বেশি। দেশটিতে টিকার কোনো ঘাটতি নেই। তবে, ভুল তথ্যের কারণে সেখানে কম মানুষের টিকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় কিছু ক্ষেত্রে সরকার টিকা বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নিয়েছে। বিশেষ করে আফ্রিকায় করোনার নতুন বিপজ্জনক ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ শনাক্ত হওয়ার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে টিকাদানে তোড়জোড় শুরু হয়েছে।

>> পক্ষে: লকডাউন থেকে মুক্তি দিতে পারে টিকা

করোনাভাইরাস বিধিনিষেধের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর হলো লকডাউন। এতে একদিকে যেমন দেশের অর্থনীতিতে ধস নামে অন্যদিকে ব্যক্তিগত আয়েও চরম মাত্রায় প্রভাব ফেলে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু করে কিছু না কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে। যা তাদের অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলেছে। জীবন বাঁচানোর বাইরে, বাধ্যতামূলক টিকাগ্রহণ এই লকডাউনের ক্লান্তি থেকে মুক্তি দিতে পারে।

jagonews24লন্ডনে লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ/ছবি: সংগৃহীত

অক্সফোর্ডের উইহিরো সেন্টার ফর প্রাকটিক্যাল ইথিকস’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো অ্যালবার্টো গুইবিলিনি বাধ্যতামূলক টিকা নেওয়ার পক্ষে মত দিয়ে বলেন, ‘এটা (টিকাদান) শুধু আপনার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে এমনটি নয়, এটা অর্থনীতির ক্ষতি, মানসিক-শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি থেকেও পরিত্রাণ দিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আপনার কাছে যখন বিকল্প উপায় (টিকাদান) থাকে, তখন মানুষের ওপর লকডাউনের মতো কঠোর বোঝা চাপানোর কোনো প্রয়োজন নেই।’

>> বিপক্ষ: ভুল প্রমাণিত হতে পারে টিকা

কিছু মানুষের কাছে দীর্ঘমেয়াদি উদ্বেগ থাকবেই। কোনো একটি সফল কর্মসূচির ওপর সেসব মানুষের আস্থার সংকট তৈরি হয়।

মহামারি বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে পরামর্শ দেন ড. ডিকি বুদিমান। তিনি আল-জাজিরাকে বলেন, সংকটকালে বাধ্যতামূলক স্কিমগুলো বিপরীতমুখী হয়।

তিনি বলেন, ‘যখন মানুষের মাঝে ভুল বিশ্বাস বা ভুল বোঝাবুঝি (বাধ্যতামূলক টিকাদান প্রকল্পগুলো সম্পর্কে) থাকে যেটাকে আমরা ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ বলে জানি, তখন তারা শুধু নিজেদের মতামতকেই গুরুত্ব দেয়।’

jagonews24বাধ্যতামূলক টিকার বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডে ব্যাপক বিক্ষোভ/ছবি: সংগৃহীত

অক্সফোর্ড টিকা দলের গবেষক সামান্থা ভ্যানডেসলট টিকাকরণের রাজনৈতিক দিকের প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে ইউরোপে রাজনৈতিক দলগুলো টিকাবিরোধী বিষয়ে উসকানি দিয়েছে। কারণ তারা জানে, জনসংখ্যার একটি নির্দিষ্ট অংশ এর বিরোধিতা করবে। তারা এটিকে ভোট পাওয়ার অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে দেখেছে।’

‘আমরা আরও কিছু দল দেখতে পাচ্ছি, যারা প্রচার-প্রচারণায় এ ধরনের বার্তা দিচ্ছে যে, তারা ক্ষমতায় গেলে বাধ্যতামূলক টিকা দেওয়ার বিষয়টি সরিয়ে নেবে। আর এটিই ভয়ের কারণ যে, পরে আবারও ভাইরাসের সম্মুখীন হলে আমরা তা করতে পারবো না। নীতিগত সিদ্ধান্ত হিসেবে টিকা নেওয়ার বিকল্প বর্তমানে নেই।’

এআরএ/জিকেএস