প্রথম বার কুক দ্বীপে করোনার হানা
বিশ্বব্যাপী প্রায় দুই বছর ধরে তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনাভাইরাস। এমন কোনো দেশ নেই যেখানে করোনা হানা দেয়নি। প্রাণ হারিয়েছেন বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ। তবে মহামারি শুরু হওয়ার পর এই প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হলো কুক দ্বীপপুঞ্জে। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় এ দেশটি যখন পর্যটকদের জন্য সীমান্ত পুনরায় খোলার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখনই এ খবর এলো। খবর এনডিটিভির।
প্রায় ১৭ হাজার জনসংখ্যার দেশটি বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ টিকাদানের হারে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। সেখানকার প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৯৬ শতাংশ দুই ডোজ টিকা নিয়েছে।
প্রথম বার ১০ বছর বয়সী এক শিশুর দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সে তার পরিবারের সঙ্গে একটি প্রত্যাবাসন ফ্লাইটে আসে। এরপর সে কোয়ারেন্টাইনে ছিল। কুক দ্বীপপুঞ্জের প্রধানমন্ত্রী মার্ক ব্রাউন এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান। ওই শিশুর পরিবার নিউজিল্যান্ড থেকে কুক দ্বীপপুঞ্জে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ব্রাউন বলেন, আমাদের সীমান্ত পুনরায় খোলা জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছি। এর অংশ হিসেবেই সবার করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পরই ওই দ্বীপটি বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এরই মধ্যে তারা নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে জানুয়ারির ১৪ তারিখ থেকে কোয়ারেন্টাইন মুক্ত ভ্রমণ চালুর ঘোষণা দিয়েছে। এই বছরের শুরুতে অকল্যান্ডে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ভ্রমণ বন্ধ রাখা হয়।
এদিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ধরণ ওমিক্রন। গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম বারের মতো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে করোনার নতুন ধরন শনাক্তের বিষয়ে সতর্ক করে। অবশ্য পরে জানা যায়, এর আগেই নেদারল্যান্ডসে পাওয়া গিয়েছিল করোনার নতুন ধরনটি। তখন এর আনুষ্ঠানিক কোনো নাম না থাকলেও ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপে দেরি করেনি বিশ্ব। আফ্রিকান দেশগুলোর ওপর একের পর এক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইউরোপ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ অসংখ্য দেশ।
এমএসএম/টিটিএন/এএসএম