মলনুপিরাভিরের কার্যকারিতা অনেক কম, জানালো মার্ক
মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান মার্ক কোভিড-১৯ মোকাবিলায় মুখে খাওয়ার ওষুধ আনলে উৎফুল্ল হয়ে উঠেছিল গোটা বিশ্ব। করোনাভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি বড় অস্ত্র হবে বলে ধরে নিয়েছিলেন সবাই। কিন্তু সেই আশা এখন অনেকটাই ম্রিয়মান। কারণ মার্ক নিজেই জানিয়েছে, তাদের ওষুধ মলনুপিরাভির করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যতটা কার্যকর আগে বলা হয়েছিল, প্রকৃতপক্ষে তার ক্ষমতা অতটা নয়। খবর রয়টার্সের।
চূড়ান্ত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মলনুপিরাভির করোনাজনিত কারণে মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তির হার ৩০ শতাংশ কমাতে সক্ষম। অথচ, গত অক্টোবরে প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছিল, ওষুধটির কার্যকারিতা প্রায় ৫০ শতাংশ। সেই সময় ৭৭৫ জন রোগীর ওপর পরিচালিত পরীক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গবেষকরা। তবে পরের ধাপে ১ হাজার ৪৩৩ জন রোগীর ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা যায়, ওষুধটির ক্ষমতা পূর্বধারণার চেয়ে অনেক কম।
মলনুপিরাভিরের কার্যকারিতা কম প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববাজারে ওষুধটি বেচাকেনায় বড় প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা যায়। বিভিন্ন দেশ এটি কেনা অব্যাহত রাখবে কিনা সেটি এখন বড় প্রশ্ন।
মলনুপিরাভির কম কার্যকর খবর ছড়ানোর পরপরই ধস নেমেছে মার্কের শেয়ারে। শনিবার (২৭ নভেম্বর) দিনের প্রথমভাগের লেনদেনে তাদের শেয়ারের দর ৩ দশমিক ৫ শতাংশ কমে ৭৯ দশমিক ৩৯ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
অবশ্য করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকার পাশাপাশি এখনো আশার আলো দেখাচ্ছে ফাইজারের ওষুধ প্যাক্সলোভিড। প্রাথমিক পরীক্ষায় এটি করোনা রোগীদের মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তি ৮৯ শতাংশ কমাতে সক্ষম বলে জানানো হয়েছে। অবশ্য এখনো মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের ছাড়পত্র পায়নি ওষুধটি।
তবে এরই মধ্যে বাংলাদেশসহ ৯৫টি দেশের ওষুধ কোম্পানিগুলোকে নিজেদের তৈরি করোনার ওষুধ উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে ফাইজার। গত ১৬ নভেম্বর জাতিসংঘ সমর্থিত গ্রুপ মেডিসিনস প্যাটেন্ট পুলের (এমপিপি) সঙ্গে চুক্তি হয়েছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্টদের। ফলে নির্ধারিত দেশগুলোর ওষুধ নির্মাতারা ফাইজারের তৈরি অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ প্যাক্সলোভিড উৎপাদনের সাব-লাইসেন্স পাচ্ছে।
এর আগে জেনেভাভিত্তিক গ্রুপ এমপিপির সঙ্গে একই ধরনের চুক্তির আওতায় মার্কের তৈরি করোনার ওষুধ মলনুপিরাভির তৈরির লাইসেন্স পেয়েছিল বাংলাদেশসহ ১০৫টি দেশ।
কেএএ/জেআইএম