করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী
বিশ্বে করোনাভাইরাসে দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণ আবারও ঊর্ধ্বমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে করোনায় ৭ হাজার ৮০৭ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৯ জন।
এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫১ লাখ ৩৭ হাজার ৮৪৫ জন এবং আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৫ জনে।
আগের ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে ভাইরাসটিতে ৭ হাজার ১১২ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৮১২ জন।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে সর্বশেষ এ তথ্য পাওয়া গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এসময়ে দেশটিতে ১ লাখ ১ হাজার ৭০৭ জন আক্রান্ত ও ১ হাজার ৩৬০ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৪ কোটি ৮২ লাখ ৮৪ হাজার ৪৮২ জন এবং মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৯২৯ জনে।
দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় ১ হাজার ২৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে সংক্রমিত হয়েছেন আরও ৩৬ হাজার ৬২৬ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৯১ লাখ ৮২ হাজার ৫৩৮ জন এবং মারা গেছেন ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪ জন।
জার্মানিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০ হাজার ৭৫৩ জন আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি মারা গেছেন ২৪৮ জন। এসময়ে যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ২৬৩ জন এবং মারা গেছেন ২০১ জন।
আক্রান্তের তালিকায় তৃতীয় ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৯৭৭ জন এবং মারা গেছেন ৩৭৪ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট শনাক্ত ২ কোটি ১৯ লাখ ৭৭ হাজার ৬৬১ জন এবং মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ১১ হাজার ৮৯৮ জনে।
আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা প্রতিবেশী দেশ ভারতে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৮ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৬৪ হাজার ১৫৩ জন।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ইরানে ১২৫ জন, তুরস্কে ২২৯ জন, ইউক্রেনে ৭৬৯ জন, পোল্যান্ডে ৪৬৩ জন, ফিলিপাইনে ৩০৯ জন এবং মেক্সিকোতে মারা গেছেন ৩৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৭৪ হাজার ২৫২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ২৩ কোটি ১০ লাখ ৬৩ হাজার ৪৪০ জন।
এমকেআর/এএসএম