ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

করোনা কমে যেতেই শ্যামাপূজার আরাধনা ত্রিপুরায়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:১০ পিএম, ০৫ নভেম্বর ২০২১

আগরতলা সংবাদদাতা

অবাঙালিদের মধ্যে ব্যাপক প্রচার থাকলেও যত দিন গড়াচ্ছে বাঙালিদের মধ্যেও এর প্রভাব বাড়ছে। অন্যান্য বছরের মতো চলতি বছরও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে উদযাপিত হয়েছে শ্যামা মায়ের আরাধনা ও দীপাবলি উৎসব। গেলো বছর কোভিডের কারণে সেভাবে পূজা-অর্চনা করা সম্ভব না হলেও বছর ঘুরতেই সেই পুরোনো ছন্দে ফিরে এসেছে আলোর উৎসব দীপাবলি।

রাজ্যে পূজার মূল আনন্দ ছিল মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে। পূজার আগের দিন থেকে মন্দির প্রাঙ্গণে ভিড় করতে থাকেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীরা। যার রেশ কাটেনি বৃহস্পতিবারও।

পূজাকে কেন্দ্র করে মাতাবাড়ি চত্বরে আগের চেয়ে প্রশাসনিক দৌড়ঝাঁপ ছিল অনেক বেশি। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও করা হয়েছিল এই চত্বরে। পরে সস্ত্রীক ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব থেকে শুরু করে সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন দপ্তরের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, স্থানীয় বিধায়ক ও মেলা কমিটির চেয়ারম্যান বিপ্লব কুমার ঘোষ ও অন্যান্য বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে দীপাবলি উৎসবের উদ্বোধন করা হয়।

একই সঙ্গে পূজা প্রাঙ্গণে মেলার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। শুক্রবারও এ মেলা চলবে। করোনার কারণে গত বছর এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। এমনকি পূজার আয়োজন ছিল সীমিত। চলতি বছর করোনা সংক্রমণ কমে আসায় স্বাস্থ্যবিধিও অনেকটা শিথিল করা হয়েছে। দর্শনার্থীরাও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে পূজা দেখতে এসেছেন। প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, টানা দুদিনে শ্যামাপূজা ও মেলা উপলক্ষে এখানে অন্তত ১০ লাখ জনসমাগম হয়।

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) দীপাবলি উপলক্ষে কল্যাণ সাগরের পাড়ে গঙ্গা আরতি করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ও তার স্ত্রী নীতি দেব। পরে তারা মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন। সেখানে তারা মায়ের কাছে রাজ্যের সবার সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। পাশাপাশি কামনা করেন, এভাবেই যেনো প্রতি বছর উৎসাহের সঙ্গে দীপাবলি উৎসব উদযাপন করা যায়।

মন্দিরে পা রাখার আগে ১৪ বাধারঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মিমি মজুমদারের উদয়পুরস্থ বাসভবনে আয়োজিত কালীপূজায় অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে এডি নগর পুলিশ কমপ্লেক্সে আয়োজিত শ্যামাপূজায় উপস্থিত ছিলেন তিনি। আলোর উৎসবকে কেন্দ্র করে সেখানে একটি আতশবাজি প্রদর্শনী হয়। পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ অনেকেই সেই প্রদর্শনী উপভোগ করেন।

এআরএ/এএসএম