ফাইজারের সঙ্গে চুক্তি করলেই সরবরাহ বাড়বে দ্বিগুণের বেশি
আগামী বছর প্রায় তিন হাজার কোটি ডলারের করোনারোধী টিকা বিক্রির আশা করছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ফাইজার। কিছু দেশের সঙ্গে নতুন চুক্তি হলে বিক্রি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। খবর রয়টার্সের।
ফাইজার জানিয়েছে, ২০২২ সালে তাদের বার্ষিক টিকা উৎপাদন সক্ষমতা ৪০০ কোটি ডোজে পৌঁছালেও সেসময় মাত্র ১৭০ কোটি ডোজ করোনা টিকা বিক্রি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অর্থাৎ, নতুন চুক্তি হলেই আগামী বছর তারা আরও বেশি টিকা সরবরাহ করতে পারবে।
আয়-ব্যয়ের সব অর্থই জার্মান অংশীদার বায়োএনটেকের সঙ্গে সমানভাবে ভাগাভাগি করে ফাইজার। মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, চলতি বছর করোনা টিকা বিক্রি থেকে তাদের ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলার আয় হতে পারে। অর্থাৎ, ২০২১ সালে ফাইজারের মোট বিক্রির ৪৪ শতাংশই আসতে পারে করোনা টিকা থেকে।
গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম করোনারোধী টিকা হিসেবে অনুমোদন পায় ফাইজার। বর্তমানে ইউরোপ-আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত টিকা এটি। এমনকি শিশুদের জন্য শুধু ফাইজারের টিকা ব্যবহারেরই অনুমতি দিয়েছে বেশ কিছু দেশ।
ফলে টিকা বিক্রির দিক থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসনের তুলনায় বহুগুণ এগিয়ে গেছে ফাইজার। এতে তাদের শেয়ারের দামও বেড়েছে হু হু করে।
কেএএ/জিকেএস