টিকা রপ্তানির অনুমোদন দিলো ভারত, পাবে বাংলাদেশও
বাংলাদেশ, নেপাল, মিয়ানমার ও ইরানে করোনার টিকা রপ্তানির জন্য সেরাম ইনস্টিটিউটকে (এসআইআই) অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার। চলতি অক্টোবরেই ‘ভ্যাকসিন মৈত্রী’ কর্মসূচির আওতায় ১০ লাখ করে কোভিশিল্ড টিকা পাবে বাংলাদেশ, নেপাল ও মিয়ানমার। অন্যদিকে, ভারত বায়োটেকের ১০ লাখ টিকা পাবে ইরান। বৃহস্পতিবার দেশটির কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
সেরাম ইনস্টিটিউট কোভিশিল্ডের ২০ কোটির বেশি ডোজ প্রতি মাসে উৎপাদন করতে সক্ষম এবং তারা দেশটির সরকারকে জানায়, চলতি অক্টোবরেই ২২ কোটি ডোজ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
বিভিন্ন সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, গভর্নমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক, প্রকাশ কুমার সিং জানান, দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্দাভিয়া সেরাম ইনস্টিটিউটকে অনুমোদন দেয় যে, কিভাবে সমস্যা সমাধান করা যায় টিকার ব্যাপারে।
এর আগে, ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, গত ২০ সেপ্টেম্বর এক ঘোষণার মাধ্যমে জানান, ভারত 'ভ্যাকসিন মৈত্রী' কর্মসূচির আওতায় অক্টোবরে উদ্বৃত্ত টিকা রপ্তানি পুনরায় শুরু করবে।
অবশেষে ভারত থেকে চুক্তি অনুযায়ী কেনা টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ। করোনাভাইরাসের কোভিশিল্ড টিকা প্রাপ্তির জন্য সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছিলো বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ ৭০ লাখ ডোজ টিকা পায়। গত মার্চ মাসে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপে ভারতের পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটলে টিকা রপ্তানি স্থগিত করে দেয় দেশটি। এর ফলে তিন কোটি ডোজ টিকা কিনলেও তা আর বুঝে পায়নি বাংলাদেশ। ফলে টিকা নিয়ে চরম সংকট তৈরি হয়।
সূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
এসএনআর/জিকেএস